'বাচ্চার মতো আচরণ করে নির্বাচন জেতা যায় না', কোচবিহারে বললেন মোদী
"মানব পাচার নিয়ে কঠোন আইন এনেছে কেন্দ্র। বিজেপি ক্ষমতা এলে পশ্চিমবঙ্গে তা যথাযথ প্রয়োগ সুনিশ্চিত করা হবে।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৯-র লোকসভা ভোটে এবার পাখির চোখ বাংলা। এর আগে ৩ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গে জোড়া সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর আবার আজ, লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা ভোটগ্রহণের মাথায় কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে জনসভা করছেন প্রধানমন্ত্রী।
রাসমেলা ময়দান থেকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য একনজরে-
বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ছাদের উপরেও মানুষ দাঁড়িয়ে। এই জনসমুদ্র দেখতে পাচ্ছেন দিদি?
আপনারা যে যেখানে ভোট দেবেন, সেটা সরাসরি মোদীর খাতে যাবে।
মজবুত সরকারের জন্য মোদীর হাত শক্ত করতে হবে।
দেশের মজবুতির জন্য মজবুত সরকার চাই।
যতদিন গুন্ডা, তোলাবাজিদের মাথার উপর দিদির হাত থাকবে, ততদিন বাংলার উন্নতি হবে না।
মানব পাচার নিয়ে কঠোন আইন এনেছে কেন্দ্র। বিজেপি ক্ষমতা এলে পশ্চিমবঙ্গে তা যথাযথ প্রয়োগ সুনিশ্চিত করা হবে।
ফোনে বিনামূল্যে কথা বলা যাবে। ইন্টারনেট সবচেয়ে সস্তা হয়ে যাবে।
সারদা-রোজভ্যালির সব টাকা লুঠেছে। এক-এক টাকার হিসেব নেবে এই চৌকিদার।
'রোজ' বললে মানুষ ফুলের কথা মনে করে, কিন্তু এখানে 'রোজ' মানে 'কাঁটা'।
'নারদ মুনি' ত্রিভুবনে পরিচিত। বাংলায় তাঁর পরিচিতি কেলেঙ্কারিতে।
'মা সারদা'কে সারা দেশ পুজো করে। কিন্তু, দিদি বাংলায় 'সারদা' কেলেঙ্কারি দিয়েছেন।
কেন সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ লাগু হচ্ছে না।
বাংলায় কেন যুবকদের চাকরি হচ্ছে না।
পশ্চিমবঙ্গের 'স্পিড ব্রেকার দিদি' রাতে ঘুমোতে পারছেন না।
দিদিকে 'সবক' শেখানোর জন্য পশ্চিমবাংলায় 'কমল' ফুটবে, যত বেশি পদ্ম ফুটবে ততই জবাব পাবে।
দিদির জন্য এরাজ্যের কৃষকরা কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত।
মানুষের ভরসাতেও 'স্পিড ব্রেকার' লাগিয়ে দিয়েছেন দিদি।
পশ্চিমবাঙলায় পিসি-ভাইপোর জুটি দুর্নীতি, তোলাবাজি, গুন্ডামি করছে।
সবার ভরসা ভেঙে দিয়েছেন দিদি।
এটা ভারতের অপমান। শহিদদের অপমান।
দিদি এমন মানুষদের সহযোগিতা করছেন, যাঁরা ভারতে ২ জন প্রধানমন্ত্রী চান!
দিদি ভয় পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের উপর রাগ দেখাচ্ছেন দিদি। এটাই তার প্রমাণ।
এর আগের সরকার সেনাকর্তাদের পরামর্শের পরেও আতঙ্কবাদীদের বিরুদ্ধে বদলা নেয়নি। শুধু জওয়ান শহিদ হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু তাতে কারোও কারোও অসুবিধা হচ্ছে।
নতুন ভারত আতঙ্কবাদীদের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে, সাহস রাখে।
আতঙ্কবাদীদের ঘরে ঢুকে সন্ত্রাসবাদীদের খতম! অসম্ভবকে সম্ভব করেছে।
কেন্দ্রীয় সরকার কোচবিহারের উন্নয়নে ১০০ কোটি মঞ্জুর করেছে।
অসম্ভব আজ সম্ভব। এটাই নতুন ভারত।
এখানে 'স্পিড ব্রেকার দিদি' আছেন।
দিদি ও তাঁর সঙ্গীরা তাই করছেন। নাটক করেছেন দিদি।
ছোট বাচ্চার মতো আচরণ করে নির্বাচন জেতা যায় না।
রাজবংশী সম্প্রদায় ও তাদের গৌরবান্বিত ইতিহাসকে আমার প্রণাম।
কোচবিহার ও উত্তর বাংলার সব বাইবোনদের আমার শুভেচ্ছা।
বিশাল জনসমুদ্রকে আমার প্রণাম। সভার জনসমুদ্র দিদির পরাজয়ের প্রতীক।
ভারত মাতা কি জয়। বক্তব্য শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী।