Malda: মুসলিম মহিলার হাতে কালীপুজো, মানত করলেই মিলবে ফল; 'শেফালি-কালী'-তে মজে মালদার গ্রাম
শেফালি দেবী প্রথমে নিজেও হিন্দু দেবীর এই স্বপ্নাদেশ পেয়ে হতভম্ব হয়ে যান। এরপর স্বপ্নাদেশের কথা তিনি গ্রামবাসীকে জানালে মনগড়া কথা ভেবে অনেকেই তাকে এড়িয়ে যান বলে জানা গিয়েছে।
![Malda: মুসলিম মহিলার হাতে কালীপুজো, মানত করলেই মিলবে ফল; 'শেফালি-কালী'-তে মজে মালদার গ্রাম Malda: মুসলিম মহিলার হাতে কালীপুজো, মানত করলেই মিলবে ফল; 'শেফালি-কালী'-তে মজে মালদার গ্রাম](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/11/08/446144-hefali-kali.png)
রণজয় সিংহ: মুসলিম মহিলার হাত ধরে কালীপুজো শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এমনই ঘটনা নজর কেড়েছে মালদহে। হবিবপুর ব্লকের, মধ্যম কেন্দুয়া গ্রামের ঘটনা এটি।
শেফালি দেবী প্রথমে নিজেও হিন্দু দেবীর এই স্বপ্নাদেশ পেয়ে হতভম্ব হয়ে যান। এরপর স্বপ্নাদেশের কথা তিনি গ্রামবাসীকে জানালে মনগড়া কথা ভেবে অনেকেই তাকে এড়িয়ে যান বলে জানা গিয়েছে। গ্রামবাসীদের তরফে আরও জানা গিয়েছে যে এই ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই গ্রামে কিছু ‘অলৌকিক’ ঘটনা ঘটতে থাকে। এর পরেই ওই মুসলিম মহিলার কথা মানতে বাধ্য হন গ্রামের হিন্দুরা। এরপরই শেফালিকে এই পুজো করার সম্মতি দেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: Live: জন্মদিনেই অভিষেককে তলব ইডির! ইডিকে 'কুকুর' কটাক্ষ দেবাংশুর
সেই থেকে আজও একইভাবে ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে কালীপুজো করে আসছেন শেফালি বেওয়া ও তাঁর পরিবার। কালীপুজোয় সম্প্রীতির অনন্য নজির মধ্যম কেন্দুয়া রেললাইনের পুজো। বছরের পর বছর ধরে মুসলিম মহিলার হাত ধরেই হয়ে আসছে এই কালীপুজো। আর এই পুজোকে ঘিরে হিন্দু, মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই আনন্দে মেতে ওঠেন।
সংখ্যালঘু মহিলার মা কালীর প্রতি প্রেমভক্তি সকলকেই আকর্ষণ করে। শেফালী বেওয়া জানান, ‘মুসলিম মহিলা কালী পূজা করবে, গ্রামবাসীরা এই শুনে অবাক হয়েছিলেন। প্রথমদিকে কালীপুজো করার অনুমতি দিতে চায়নি। কিন্তু যত দিন যায় দেখা যায়, পুজোয় বসে যা বলতেন, অধিকাংশ সময়ই সেটা লেগে যেত’।
আরও পড়ুন: Serampore: ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে নিখোঁজ! পরিত্যক্ত বাড়িতে মিলল যুবতীর দেহ...
এমনকি কারোর অসুখ করলে পুজোয় বসে শেফালিদেবী নিদান দিতেন এবং সেটা করে রোগী সুস্থ হয়ে যেত এমনটাই জানা গিয়েছে। গ্রামবাসীরাই মিলিতভাবে রেললাইনের ধারে মা কালীর একটি বেদি করে দিয়েছেন। সেখানে নিত্যপুজো হয়। আর এই কালীপুজোর দিন মূর্তি পুজো করা হয়।
টানা ১৫ দিন ধরে এই পুজো চলে। এরপরে সামনের পুকুরে মূর্তি বিসর্জন করা হয়। শেফালির নাম থেকে এই পুজোর নাম হয়ে গিয়েছে ‘শেফালি-কালী পুজো’। গ্রামের লোক জানিয়েছেন এই পুজোতে যে যা মনস্কামনা নিয়ে আসেন মা কালী তাই পূরণ করে দেন। এই মন্দিরে বহু দূর দুরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন বলেও জানা গিয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)