কোন পথে অনগ্রসরদের উন্নয়ন সম্ভব, বিরোধী বিধায়কদেরও পরামর্শ দিতে বললেন মমতা
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিক পরামর্শ দেন কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্রাক্তন আমলা সুখবিলাস বর্মা। বলেন, আদিবাসীদের জাতি প্রমাণপত্র দেওয়ার নিয়ম সরলীকরণ করতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আট বছরে এই প্রথমবার। বিধানসভার অধিবেশনের বাইরে বিরোধী বিধায়কদের কথা মন দিয়ে শুনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাইলেন পরামর্শ। মঙ্গলবার বিধানসভায় তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই দেখা গেল এই বিরল দৃশ্য।
রাজ্যে তপশিলি জাতি ও উপজাতির জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে এদিন সেই সম্প্রদায়ের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় রয়েঠে ৮৪ জন তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত বিধায়ক। দলমত নির্বিশেষে এই প্রথম আমন্ত্রণ পৌঁছেছিল সবার কাছে।
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিক পরামর্শ দেন কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্রাক্তন আমলা সুখবিলাস বর্মা। বলেন, আদিবাসীদের জাতি প্রমাণপত্র দেওয়ার নিয়ম সরলীকরণ করতে হবে। বাড়াতে হবে আদিবাসী ভাতা প্রাপকদের সংখ্যা। আদিবাসীদের জমি জবরদখল রুখতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের একাধিক মাদ্রাসা যেন জঙ্গি তৈরির কারখানা, রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
পালটা হাজির বিধায়কদের মুখ্যমন্ত্রী বিস্তারিত পরামর্শ লিখিত আকারে জমা দেওয়ার অনুরোধ জানান। বৈঠকে মুখ খোলেন আরেক কংগ্রেসি বিধায়ক শংকর মালাকার। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে আদিবাসীদের আলাদা ভাবে দেখতে হবে। অন্য জায়গায় আদিবাসীদের সঙ্গে তাদের গুলিয়ে ফেললে চলবে না। চা বাগান এলাকায় তেমন কোনও উন্নয়নই হয়নি। সেদিকে নজর দিতে হবে সরকার ও প্রশাসনকে। আদিবাসীদের জমি লুঠ হচ্ছে। তা বন্ধ করতে তত্পর হবে হতে হবে প্রশাসনকে।