জল দেখতে পথে মমতা, তুললেন ম্যান মেড বন্যার অভিযোগ
![জল দেখতে পথে মমতা, তুললেন ম্যান মেড বন্যার অভিযোগ জল দেখতে পথে মমতা, তুললেন ম্যান মেড বন্যার অভিযোগ](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2017/07/27/89764-mamata.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: হাওড়া-হুগলির পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে ম্যান মেড বন্যার অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ আমতা-জয়পুর-খানাকুলে দুর্গত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পর্যাপ্ত ত্রাণ সাহায্যের আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে তোপ দাগেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। DVC-র জলে ফি-বছর বাংলা ভাসলেও দিল্লির হেলদোল নেই বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর।
জলে ভাসছে দক্ষিণবঙ্গ। পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে এ বার নিজেই রাস্তায় নামলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্ন থেকে বেরিয়ে তিনি সোজা চলে যান আমতা। উদয়নারায়ণপুরের কাছে আমতার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। যান জয়পুরেও। খানাকুলে জলবন্দি মানুষের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পর্যাপ্ত ত্রাণ সাহায্যের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন খানাকুল বিডিও অফিসে মুখ্যসচিব-স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারি অফিসারদের নির্দেশ দেন তিনি। পরে, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তোপ দাগেন কেন্দ্রকে।
ডিভিসির জলে ক্ষয়ক্ষতির যে পরিমাণ এখনও পর্যন্ত এসে পৌছছে, তার ওপর ভিত্তি করে সরকার জানিয়েছে, ১১টি জেলার ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে ধানের বীজতলা পোঁতা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৯ হাজার ৩৯১ হেক্টর জমি জলে ডুবে যাওয়ায় বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা।
৬ লক্ষ ৬১ হাজার ৩৪৮ হেক্টর জমিতে ইতিমধ্যেই ধান রোয়া হয়েছে। ২-৩ দিনের মধ্যে জল না নামলে এর মধ্যে ২লক্ষ ৪৯ হাজার ৪৭৩ হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ধান নষ্ট হলে সরকার ফের কৃষকদের বীজ দেবে। এ জন্য ১১ হাজার ৩৪০ মেট্রিক টন বীজ মজুত রাখা হয়েছে। বন্যার আগে কালবৈশাখীতে ২০৫ কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। এই টাকাও ক্ষতিপূরণ হিসাবে কৃষকদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। (আরও পড়ুন- DVC-র জলে বাংলায় 'ম্যানমেড বন্যা', মোদীর হস্তক্ষেপ চেয়ে সংসদে সরব তৃণমূল)