Shilda EFR Camp Firing: শিলদা ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলা, ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত

Shilda EFR Camp Firing: মামলা শুরু হয় ঝাড়গ্রাম আদালতে পরবর্তীতে সেই মামলার শুনানী শুরু হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা আদালতে। সেই মামলারই  আজ মেদনীপুর আদালতে অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্থ করা হয়

Updated By: Feb 27, 2024, 02:31 PM IST
Shilda EFR Camp Firing: শিলদা ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলা, ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত

চম্পক দত্ত: প্রায় দেড় দশক আগে মেদিনীপুরের শিলদায় এক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকা ইএফআর ক্যাম্প আচমকাই হামলা চালায় মাওবাদীরা। ভয়ংকর সেই হামলা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্যকে। হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৪ জন জওয়ান। সেই মামলায় ২৩ জনকে দোষী সাব্য়স্ত করল মেদিনীপুর জেলা আদালত।

আরও পড়ুন-'সন্দেশখালি যাইনি, আমি অঞ্চল সভাপতি নই, বিধায়ক’! হাসপাতাল থেকে ভিডিয়ো বার্তা অজিত মাইতির

২০১০ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি শিলদা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চত্বরে থাকা EFR ক্যাম্পে মাওবাদীরা হামলা চালিয়ে গুলি করে, ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে ২৪ জন EFR জওয়ানকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। জওয়ানের পাল্টা প্রতিরোধে ৫ জন মাওবাদী মারা গিয়েছিল। এই ঘটনার পরই EFR ক্যাম্প তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেই EFR ক্যাম্পের অদূরে  শিলদাতে করা হয় রাজ্য পুলিশের স্ট্রাকো ক্যাম্প।

জঙ্গল মহলে মাওবাদী হামলায় এতো নৃশংস হত্যা এর আগে কখনো হয়নি এরাজ্যে। রাত্রি ৯ টা নাগাদ এই ক্যাম্পে হামলা চালায় সশস্ত্র মাওবাদীরা। একের পর এক জওয়ানকে নৃশংস ভাবে গুলি করে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয় দুই জওয়ান, উদ্ধার হয় মোট ৫ জন। লুট হয় পুলিসের অস্ত্রশস্ত্র।

ওই মামলার মোট ২৪ জন মাওবাদীদের নামে অভিযোগ। এই মামলায় প্রথম মাও নেতা রঞ্জন মুন্ডাকে গ্রেপ্তার হয়। তার একের পর এক মাও নেতা নেত্রী গ্রেপ্তার হয় অধরা ছিলো মাও নেত্রী  সুচিত্রা মাহাত পরে পুলিশের কাছে আত্ম সমর্পণ করে সুচিত্রা। প্রথমে এই মামলা শুরু হয় ঝাড়গ্রাম আদালতে পরর্বতীতে সেই মামলা শুনানি শুরু হয় পশ্চিম মেদিনীপুর আদালতে। সেই মামলায় ২৩ জন দোষী সাব্যস্ত হল মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর আদালতে। মঙ্গলবার জেলবন্দি ১৪ জন মাওবাদীকে তোলা হল ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সালিম সাহির এজলাসে। এছাড়াও বাকি ৯ জন যারা জামিনে মুক্ত রয়েছেন, তারাও মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয় । বিচারক এ দিন অভিযুক্ত ২৪ জনের মধ্যে ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন । ইতিমধ্যে একজন এর মৃত্যু হয়েছে, সুদীপ চোংদার নাম এক মাওবাদী নেতার।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, জামিনে ছিল লোচন সিং সর্দার, চুনারাম বাস্কে, রমসাই হাঁসদা, আশীষ মাহাত, ধৃতিরঞ্জন মাহাত, অর্নব দাম, বিষ্ণু সারেন, বুদ্ধেশ্বর মাহাত, প্রশান্ত পাত্র। জেল হেফাজতে ছিল শ্যামচরণ হাঁসদা, রাজেশ হাঁসদা, শুকলাল সরেন, রাজেশ মুন্ডা, মানস মাহাতো, কানাই হাঁসদা কল্পনা মাইতি, সনাতন সরেন, মনসারাম হেমব্রম, ঠাকুরমনি হেমব্রম, ইন্দ্রজিৎ কর্মকার, কাজল মাহাতো, রঞ্জন মুন্ডা, মঙ্গল সরেন।

সরকারি আইনজীবী দেবাশীষ মাইতি বলেন, ওই ঘটনায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়েছিল। তার মধ্যে একজন মারা যায়। ৯ জন জামিনে ছিল। আজ ২৩ জনকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেন এবং জামিনে থাকা ৯ জনকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মঙ্গলবার এবং বুধবার ২৩ জনের কাছ থেকে বক্তব্য শুনবেন বিচারক, তারপরেই সাজা ঘোষণা হবে।"

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.