বাংলায় বর্গী হামলা চলছে, আদালতকে ধন্যবাদ, আদালতের স্থগিতাদেশের পর বললেন অধীর

অধীরের প্রশ্ন, 'বাংলায় এমন কী হল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন করতে দিচ্ছেন না? নির্বাচন হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জিতবেন আমি হলফ করে বলতে পারি। কিন্তু চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। অথচ তারা ধর্মের কথা বলবে।' 

Updated By: Apr 12, 2018, 02:38 PM IST
বাংলায় বর্গী হামলা চলছে, আদালতকে ধন্যবাদ, আদালতের স্থগিতাদেশের পর বললেন অধীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদালতের স্থগিতাদেশকে নিজেদের জয় বলে দাবি করে সরব হল সব পক্ষই। সরকারি আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি এদিনের রায় নিয়ে উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস ও বিজেপি। 

এদিনের শুনানি শেষে মুখ্যমন্ত্রী, শাসকদল ও পুলিসকে একহাত নেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এদিন তিনি বলেন, 'বাংলার মানুষ মনোনয়ন পেশ করতে পারছে না। মনোনয়ন পেশ করতে গেলে মার খেতে হচ্ছে। মনোনয়ন পেশ করার পরেও প্রত্যাহার করানোর জন্য অত্যাচার চলছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে মানুষের এই সব অভিযোগের সুরাহা করতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।' 

আগেই বলেছিলাম, বিজেপি আদালতে তথ্য গোপন করেছে, পঞ্চায়েত মামলায় বললেন কল্যাণ

অধীরবাবুর অভিযোগ, 'নির্বাচনে জিততে সারা বাংলা জুড়ে পুলিস, তৃণমূল, হার্মাদ মিলেমিশে বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গে ১০০ শতাংশ আসনে জিততে হবে। এই লক্ষ্য স্বৈরাচারী মনোবৃত্তির পরিচয়। কংগ্রেস এই নিয়ে আগেই হাইকোর্টে গিয়েছিল। কংগ্রেস নির্বাচন বন্ধ করার জন্য কখনও আবেদন জানায়নি। আমরা শুধু নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার চেয়েছিলাম। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া চলবে না।' 

এদিন পুলিস প্রশাসনক বাছা বাছা বিশেষণে বেঁধেন অধীরবাবু। বলেন, 'আদালতের নির্দেশ পালন করার মতো সাহস পুলিসের নেই। তারা শাসকদলের নেতাদের নির্দেশে চলছে।' 

অধীরের প্রশ্ন, 'বাংলায় এমন কী হল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন করতে দিচ্ছেন না? নির্বাচন হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জিতবেন আমি হলফ করে বলতে পারি। কিন্তু চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। অথচ তারা ধর্মের কথা বলবে।' 

মমতাকে অধীরের কটাক্ষ, 'এতদিন ঘুমিয়ে থাকার পর গতকাল মুখ্যমন্ত্রী জাগলেন। বললেন, বাংলায় মাত্র ৭টি ঘটনা ঘটেছে। আমি বলছি, বাংলার প্রতিটি বুথে অন্তত ৭০টি ঘটনা ঘটেছে। বর্গীর হামলা চলছে। মগের মুলুক চলছে। বাংলায় এই সন্ত্রাস কি খুব দরকার ছিল?'

এদিন বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থাজ্ঞাপন করে সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অধীর। বলেন, বিচারকদের সেলাম করি, তাঁরা আমাদের কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন। বিচারপতি বাংলা মানুষের যন্ত্রণার কথা শুনেছেন। আমাদের জ্বালার ওপর প্রলেপ পড়ল। আমার মনে হয় নির্বাচন ঝুলে গেল।  

.