পাহাড়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের হিমশিম খেল পুলিস
পাহাড়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের হিমশিম খেল পুলিস। মোর্চার ঘোষিত মিছিল আটকাতে গিয়েই বেশ কয়েকবার তাদের রীতিমতো পিছু হঠতে হয়। সিংমারি হোক বা ঘুম, মাত্র সত্তর আশিজনকে নিয়ে বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার চেষ্টা। ফল যা হওয়ার-তাই হল।
ওয়েব ডেস্ক: পাহাড়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের হিমশিম খেল পুলিস। মোর্চার ঘোষিত মিছিল আটকাতে গিয়েই বেশ কয়েকবার তাদের রীতিমতো পিছু হঠতে হয়। সিংমারি হোক বা ঘুম, মাত্র সত্তর আশিজনকে নিয়ে বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার চেষ্টা। ফল যা হওয়ার-তাই হল।
গোয়েন্দা ব্যর্থতা হয়ছে। হচ্ছেও। জানা ছিল প্রশাসনের। সে কারণেই তড়িঘড়ি আরও ন জন IPS অফিসারকে পাঠানোয় হয় পাহাড়ে। তার পরেও চলল গুলি, ঝড়ল রক্ত... শনিবার পাহাড় জুড়ে যে মিছিল হবে, তা তো আগে থেকেই জানা ছিল।
পাতলেবাসের দিকে তো নয়ই, বড় রাস্তাতেও কোনও মিছিল উঠতে দেওয়া হবে না , সেটাও ঠিক করে রেখেছিল পুলিস। রাস্তা জুড়ে ছিল ব্যারিকেড। কিন্তু তারপরেও পুলিস-CRPF অশান্তি রুখতে পারল না। শুধু তাই নয়, মোর্চার কৌশল বুঝতে না পেরে এক সময় পুলিস কোণঠাসা পর্যন্ত হয়ে পড়ে। রণেভঙ্গ দিতে বাধ্য হয়।
মিছিল আটকাতে লেবং কার্ট রোডে ব্যারিকেড করা হয়। ১১টা নাগাদ মহিলা মোর্চার প্রথম মিছিল আটকানো হয়। একই সময় পাতলেবাস থেকে সিংমারিতে হাজির হয় আরেকটি মহিলা মিছিল। নীচ থেকে উঠে আসে যুবমোর্চার তৃতীয় মিছিল। আর এই মিছিলের চক্রব্যুহে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়ে পুলিস, CRPF। ঘুমেও যথেষ্ট বাহিনী মোতায়েন ছিল না।
ব্যর্থতা কোথায়? ১.
পাতলেবাসের দিকে মিছিল যাবে সে খবর থাকলেও উল্টো দিক থেকে যে মিছিল আসতে পারে তার আগাম খবর পুলিসের কাছে ছিল না।
ব্যর্থতা ২.
সিংমারিতে পুলিস, CRPF মিলিয়ে মাত্র ৭০-৮০জন ছিলেন। ওই এলাকায় যে এত বড় মিছিল আসতে পারে যে আন্দাজই ছিল না পুলিসের।
ব্যর্থতা ৩.
ঝামেলা শুরুর আগে লেবং কোর্ট রোড পরিদর্শন করে যান খোদ SP। তারপরেও নতুন করে বাহিনী আনা হয়নি।
ব্যর্থতা ৪.
এলাকার ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে পুলিসের থেকে অনেক বেশি ওয়াকিবহাল মোর্চা। পুলিস-মোর্চা সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে, সক্রিয় অংশ নিচ্ছেন মোর্চার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্যরা। গেরিলা লড়াইয়ে অনেক ক্ষেত্রেই এদের সঙ্গে জুঝে উঠতে পারছে না পুলিস।