দিনভর তল্লাশির পর বৈদ্যবাটি-ভদ্রেশ্বরের মাঝে নয়ানজুলিতে মিলল বিষ্ণু মালের কাটা মুণ্ডু
১০ অক্টোবর কামারপাড়ার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিষ্ণু মালকে খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে দেয় বিশাল ও তার দলবল।
নিজস্ব প্রতিবেদন : অবশেষে বিষ্ণু মালের কাটা মুণ্ডু উদ্ধার করল পুলিস। এর আগে বৈদ্যবাটি খাল থেকে উদ্ধার হয় বিষ্ণু মালের হাত ও পা। শেওড়াফুলি থেকে উদ্ধার হয় ধড়। কিন্তু কিছুতেই কাটা মুণ্ডুর খোঁজ মিলছিল না।
প্রসঙ্গত, গতকালই খুনি বিশাল দাসকে চুঁচুড়া আদালতে পেশের পর ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে চন্দননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। শুরু হয় কাটা মুণ্ডুর খোঁজ। আজ বিশাল দাস, রথীন সিং ও বিপ্লব বিশ্বাসকে নিয়ে আবারও বৈদ্যবাটিতে গিয়ে কাটা মুণ্ডুর খোঁজ শুরু করেন গোয়েন্দারা। তবে সকাল থেকে বৈদ্যবাটি দিল্লি রোডের পাশের নয়ানজুলিতে তল্লাশি করা হলেও কাটা মুণ্ডুর কোনও খোঁজ মেলেনি।
শেষমেশ সন্ধ্যায় বৈদ্যবাটির দীর্ঘাঙ্গী ও ভদ্রেশ্বরের বিঘাটির মাঝামাঝি ধোবা পুকুরের কাছে দিল্লি রোডের পাশের নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার হয় বিষ্ণু মালের কাটা মুণ্ডু। উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর কামারপাড়ার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিষ্ণু মালকে খুন করে বিশাল ও তার দলবল। খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে দেয় তারা।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে, ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই এই নৃশংস খুন। খুনের পরই এলাকা ছাড়ে বিশাল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানা এলাকায় গিয়ে আত্মগোপন করে। পরে সেখান থেকেই মূল অভিযুক্ত বিশাল দাস ও তার দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃত বিশালের বিরুদ্ধে মোট ৪টি খুনের অভিযোগ রয়েছে। বিষ্ণু মাল খুনে এখনও পর্যন্ত মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন, লোকাল চালুর আগের দিন, ট্রেন 'না চালানো' নিয়ে রাজ্যকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ হাইকোর্টের