বিয়ে করতে নারাজ প্রেমিক, হোয়াটসঅ্যাপে ছবি পাঠিয়ে আত্মঘাতী সিউড়ির অধ্যাপিকা
মৃতার নাম শুভ্রা মণ্ডল। তিনি বিদ্যাসাগর কলেজের জিওলোজি ডিপার্টমেন্টে আংশিক সময়ের জন্য অধ্যাপনা করতেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘদিনের মেলামেশা। একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া। কিন্তু বিয়ের করা নাম শুনলেই বেঁকে বসতেন প্রেমিক। তাই নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। অনেক বুঝিয়েও বিয়ের করার জন্য প্রেমিককে রাজি না করাতে পেরে হোয়াটসঅ্যাপে ছবি পাঠিয়ে আত্মঘাতী হলেন সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যাপিকা। মৃতার নাম শুভ্রা মণ্ডল। তিনি বিদ্যাসাগর কলেজের জুওলোজি ডিপার্টমেন্টে আংশিক সময়ের জন্য অধ্যাপনা করতেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভ্রার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল করিধ্যার বাসিন্দা সুমন চট্টপাধ্যায়ের। সুমন শুভ্রাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলেও বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলেন না। একসঙ্গে মেলামেশা, ঘুরে বেরানো, রেস্টুরেন্টে যাওয়া-সবই করলেও বিয়ে করতে নারাজ ছিলেন প্রেমিক।
শুভ্রা তাঁকে বারবার বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু প্রত্যেকবারই কোনও না কোনও অজুহাত দেখিয়ে বিয়ের কথা থেকে সরে আসতেন সুমন। এই দুজনের মধ্যে সমস্যা চরমে ওঠে। রবিবার রাতেও দুজনের ঝগড়া হয় বলে শুভ্রার পরিবারের দাবি। কিন্তু এই ধরনের ঝামেলা তাঁদের মধ্যে মাঝেমাঝেই হত। তাই প্রথমটায় বিশেষ আমল দেননি কেউ। তাঁরা ভেবেছিলেন সমস্যা মিটে যাবে।
রাতে ঘরে ঢুকে স্ত্রীর পাশ থেকেই তুলে নিয়ে গিয়ে প্রৌঢ়ের পুরুষাঙ্গ কাটল প্রতিবেশী!
রাতে খাওয়ার পর নিজের ঘরে চলে যান শুভ্রা। পরে দীর্ঘক্ষণ দরজা না খোলায় বাড়ির লোকেদের সন্দেহ হয়। দরজা খুলে শুভ্রাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পাশেই রাখা ছিল তাঁর মোবাইল। দেখা যায়, আত্মঘাতী হওয়ার আগেই সুমনকে শেষবারের মতো ছবি পাঠিয়ে বিয়ের করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু সুমন তাতেও রাজি না হওয়ায় চরম সিদ্ধান্ত নেন শুভ্রা।
পরে সিউড়ি থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিস গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। সুমন চট্টোপাধ্যায়ের নামে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। করিধ্যায় তাঁর বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় সুমনকে।