Santragachi Bridge: আগামিকাল মধ্যরাত থেকে শুরু সাঁতরাগাছি সেতুর মেরামতি, শনিবার থেকে যান নিয়ন্ত্রণ
যাত্রীবাহী গাড়ি, টু হুইলার এবং বাসের জন্য রোটেশন রিলে পদ্ধতি অবলম্বন করেছে হাওড়া পুলিস। অর্থাৎ এদিকে দশ মিনিট, ওদিকে দশ মিনিট, এই পন্থায় দুদিকের গাড়িকে রোটেশন পদ্ধতিতে ছাড়া হবে। এই রোটেশন পদ্ধতি ভোর ৫টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত সারাদিন বহাল রাখা হবে
অয়ন ঘোষাল: সাঁতরাগাছি সেতুর স্বাস্থ্য বেহাল। দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু দিয়ে রোজ চলে প্রায় ৭০ হাজার গাড়ি। এর মধ্যে ১০-১২ হাজার পণ্যবাহী গাড়ি। এতটা গুরুত্বপূর্ণ সাঁতরাগাছি সেতুর ২১টি এক্সপানশন জয়েন্ট খারাপ। ওইসব জয়েন্ট সেতুটিকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে অন্যতম খুঁটি। তাই বড় কোনও বিপদ এড়াতে সেতু মেরামতির কাজ শুরু হচ্ছে আগামিকাল মধ্যরাত থেকে। কাজ শেষ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। অর্থাত্ প্রায় দেড় মাস ধরে চলবে সংস্কারের কাজ।
আরও পড়ুন-অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত ১৭৫৩! মিথ্যাচারের উপরে সরকার চলছে, সরব বিজেপি
এতটা সময় ধরে যদি মেরামতির কাজ চলে তাহলে যানচলাচলের কী হবে? জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রথমেই কাজ শুরু হবে কলকাতামুখী লেনের। ওই কাজ শেষ হওয়ার পর হাওড়ামুখী তথা জাতীয় সড়কের দিকের লেনে কাজ শুরু হবে। তখন পূর্ব দিকের লেন বন্ধ থাকবে। অর্থাত্ আগামী দেড় মাস সেতুটি হবে একমুখী। এর ফলে যান চলাচল কড়াভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আর এর জেরেই তৈরির হয়েছে যানজটের চিন্তা।
সাঁতরাগাছি সেতুর একটি লেন বন্ধ থাকলে স্বাভাবিকভাবেই যান চলাচলের গতি প্রবলভাবে বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা। তবে সেতু স্বাস্থ্যের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় এই সংস্কার। এখন ওই সময়ে সাঁতরাগাছি সেতুর যানজট এড়িয়ে যাতায়াত করা যাবে কোন পথে? প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে সাঁতরাগাছি ব্রিজ। আর মাঝের সময়টা চালু থাকবে একদিক দিয়ে যান চলাচল। এক্ষেত্রে আগামী দেড় মাস কোনও পণ্যবাহী গাড়ি এই সেতু ব্যবহার করতে পারবে না।
যাত্রীবাহী গাড়ি, টু হুইলার এবং বাসের জন্য রোটেশন রিলে পদ্ধতি অবলম্বন করেছে হাওড়া পুলিস। অর্থাৎ এদিকে দশ মিনিট, ওদিকে দশ মিনিট, এই পন্থায় দুদিকের গাড়িকে রোটেশন পদ্ধতিতে ছাড়া হবে। এই রোটেশন পদ্ধতি ভোর ৫টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত সারাদিন বহাল রাখা হবে। রাত ১১ টায় সেতু প্রতিদিন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই অবস্থায় যদি কোনও যাত্রীবাহী বা প্রাইভেট গাড়ি সময় বাঁচিয়ে চলতে চায় তার জন্য কিছু বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুলিস খুব শিগগিরই এ নিয়ে ট্রাফিক নির্দেশিকা জারি করবে।
পণ্যবাহী গাড়িগুলির কি হবে?
কলকাতামুখী পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে জাতীয় সড়ক ধরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে নিবেদিতা সেতুতে। সেখান দিয়ে সেগুলি প্রবেশ করবে কলকাতার দিকে। রাত ১০টার পর নিবেদিতা সেতু ধরে কলকাতায় ঢুকতে পারবে মালবাহী গাড়ি। কলকাতা থেকে যে গাড়িগুলি হাওড়ার পথ ধরবে তাদের কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বদলে ঘোরানো হবে আন্দুল রোডের দিকে। যে রাস্তা ধরে সোজা এগিয়ে তা এসে উঠবে সোজা জাতীয় সড়কে। পাশাপাশি এক্ষেত্রে ব্যবহার বাড়ানো হবে হাওড়া ব্রিজেরও।