Saumitra Khan: দুর্নীতি করলে পেনশনের টাকা আটকে দেব, সরকারি আধিকারিকদের হুঁশিয়ারি সৌমিত্রর
বাঁকুড়া জেলার আবাস যোজনায় স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে এদিন বিডিও অফিস পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপি। সেখানেই বিডিও-সহ সরকারী আধিকারিকদের এই ভাষাতেই হুশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ
![Saumitra Khan: দুর্নীতি করলে পেনশনের টাকা আটকে দেব, সরকারি আধিকারিকদের হুঁশিয়ারি সৌমিত্রর Saumitra Khan: দুর্নীতি করলে পেনশনের টাকা আটকে দেব, সরকারি আধিকারিকদের হুঁশিয়ারি সৌমিত্রর](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/01/03/402592-3.png)
মৃত্যুঞ্জয় দাস: দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে কপালে দুঃখ আছে। পেনশন আটকে যাবে। বাঁকুড়ার সোনামুখীতে বিডিও অফিসের আধিকারিকদের কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। গতকাল সিমলাপালে তৃণমূল কর্মীদের রাম ধোলাই দেওয়ার নিদান দিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তারপর সৌমিত্র খাঁর এই হুঁশিয়ারি।
আরও পড়ুন-রামধোলাই দিয়ে গ্রাম থেকে তৃণমূল কর্মীদের বিদেয় করুন, নিদান কেন্ত্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের
মঙ্গলবার সোনামুখী পুরসভা সংলগ্ন বিধায়ক কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে বিজেপি। সোনামুখী বিডিও অফিসে মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সেখানেই ওইসব মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ। সম্প্রতি আবাস যোজনা নিয়ে বিডিওদের হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছিল বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানাকে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর নামও।
এদিন সৌমিত্র খাঁ বলেন, সরকারী আধিকারিকরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হবেন না। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের প্রত্যেকের নামে থানায় এফআইআর করব। আমাদের দলের কর্মীরা করবে, আমি করব। এই আইন কিন্তু মারাত্মক। পেনশনের সময় পেনশন আটকে যাবে। জেনে রাখুন, সবাই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় হবেন না। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় আলপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৈরি করে তার স্ত্রীকে চাকরি দিয়েছিল। আপনারা প্রত্যেকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় হবেন না। উনি চুরি করতে একদম মাস্টার ডিগ্রি করে নিয়েছিলেন। তাই এখানে বিডিও ম্য়াডামকে বলব, সরকারি অফিসার যারা রয়েছেন তাদের বলব, আপনাদের নামে যদি থানায় এফআইআর করি তাহলে পেনশনের টাকা, ব্যাঙ্কের টাকা কীভাবে ইডি-র মাধ্যমে বন্ধ করা যায় তার ব্যবস্থা করে দেব।
বাঁকুড়া জেলার আবাস যোজনায় স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে এদিন বিডিও অফিস পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপি। সেখানেই বিডিও-সহ সরকারী আধিকারিকদের এই ভাষাতেই হুশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সাংসদ সৌমিত্র শুধু সরকারী আধিকারিকদের হুশিয়ারি দিয়েছেন তাই নয়, তাঁর বক্তব্যের লক্ষ ছিল তৃণমূলও। এদিন তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি চোরেদের রক্ষাকবজ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিটা গলায় লাগালে চুরি করতে অগ্রাধিকার পাবেন। ওই ছবি থাকলেই সবাই বলবে চোর যাচ্ছে, চোর যাচ্ছে ।
সৌমিত্র খাঁ এদিন নাম না করে বলেন সোনামুখীর বিডিও অফিস একজন দেহ ব্যবসায়ীর আন্ডারে চলে গিয়েছে। কারণ যার আন্ডারে বিডিও অফিস গিয়েছে তাঁর হোটেলে দেহব্যবসা হয়। ওই দেহ ব্যবসায়ীর কথা শুনে এখানকার কিছু কিছু আধিকারিকরা চলছেন। আমি সিভিক ভাইদের বলব তোমাদের কারো বয়স ৩০, কারো বয়স ৩৫, কারো বয়স ২৪। তোমরা সরকারি বাবু হয়েছ, আমাদের তাতে কোন অসুবিধা নেই। তবে তোমরা যদি কোনও দাদাগিরি দেখাতে আসো তবে এলাকার মানুষ তোমাদের পা ভেঙ্গে দেবে।