রাজ্যে কোনও সরকার চলছে না কি? প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়েই তোপ দাগলেন ছোড়দা
তবে সিপিএম বা তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সোমেন মিত্র। জানিয়েছেন, হাইকম্যান্ড যে সিদ্ধান্ত জানাবে তা মেনে চলবেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়েই তৃণমূল বিরোধিতায় সরব হলেন সোমেন মিত্র। একই সঙ্গে তিনি বলেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে তাঁর প্রথম কাজ হবে সংগঠনকে শক্ত করা।
এদিন নতুন সভাপতি ঘোষণার পরই সোমেন মিত্র এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কার নেন জি ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি মৌমিতা চক্রবর্তী। সেখানে সোমেনবাবু বলেন, হাইকম্যান্ড তাঁর ওপর যে আস্থা দেখিয়েছেন তাঁর মর্যাদা রক্ষা করার চেষ্টা করবেন তিনি।
নিজের রাজনৈতিক ইতিহাস স্মরণ করে সোমেন মিত্র বলেন, ১৯৯৮ সালের ১ মে নির্বাচনে দলের হারের দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করেছিলাম। তার পর ২ দশক পর সেই পদে ফিরলাম। শারীরিক অবস্থা আগের মতো না থাকলেও চেষ্টার কসুর হবে না। হাইকম্যান্ডের আস্থার মর্যাদা রাখার চেষ্টা করব।
তবে সিপিএম বা তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সোমেন মিত্র। জানিয়েছেন, হাইকম্যান্ড যে সিদ্ধান্ত জানাবে তা মেনে চলবেন তিনি। এমনকী বিদায়ী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
তবে এদিন তৃণমূলকে তুলোধোনা করেন সোমেন। বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা করে কংগ্রেসের কোনওদিন কোনও লাভ হয়নি। রাজ্য সরকার প্রসঙ্গে সোমেনের মন্তব্য, 'রাজ্যে কোনও সরকার চলছে না কি? মেলা, খেলা ও যাত্রা উত্সবের সরকার চলছে। এর প্রতিবাদ না করে থাকা যায় না কি? মুখ্যমন্ত্রী তিন তিনবার বিদেশ সফরে গেলেন। কিন্তু বিদেশ থেকে ক'টাকা বিনিয়োগ এসেছে?'
একই সঙ্গে এদিন পুরনো কংগ্রেস কর্মীদের দলে ফেরার আহ্বান জানান সোমেন মিত্র। বলেন, আমি তো হারকিউলিস নই। তবে চেষ্টায় কোনও খামতি থাকবে না।
শুক্রবার অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সরিয়ে সোমেন মিত্রকে নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে নিয়োগ করে হাইকম্যান্ড। এর পরই শুভেচ্ছা জানিয়ে মুহুর্মুহু ফোন আসতে থাকে তাঁর কাছে।