ট্রেন নেই, অফিস যেতে ভরসা ভেসেল, শ্রীরামপুর ও চন্দননগর থেকে চালু হল ফেয়ারলির লঞ্চ
শ্রীরামপুর থেকে ফেয়ারলির লঞ্চের ভাড়া করা হয়েছে ৪৬ টাকা। চন্দননগর থেকে ফেয়ারলি একপিঠের ভাড়া ৬০ টাকা। যাতায়াতে মোট পড়বে ১২০ টাকা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউন কাটিয়ে এবার জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চ্যালেঞ্জ। শুরু হয়েছে আনলকিং পর্ব। খুলে গিয়ে অফিস কাছারি। কিন্তু জুনের ৩০ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। ফলে শহরতলি থেকে কলকাতায় অফিস পৌঁছতে গিয়ে কালঘাম ছুঠছে অফিসযাত্রীদের। রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকসময় বাসের দেখা মিলছে না। আবার বাসে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতি হুগলি জেলার মানুষদের খানিকটা স্বস্তি দিয়ে শ্রীরাপুর ও চন্দননগর থেকে ফেয়ারলি পর্যন্ত চালু হল লঞ্চ পরিষেবা।
প্রতিদিন সকাল ৮টায় শ্রীরামপুর থেকে ফেয়ারলির উদ্দেশে লঞ্চ ছাড়বে। ভাড়া করা হয়েছে ৪৬ টাকা। অফিস কাছারি খুলে যাওয়ায় কলকাতা যাওয়ার লোক বেড়েছে। হুগলি জেলা থেকে কয়েকটি সরকারি বাসও চালু করা হয়েছে যাত্রীদের সুবিধায়। কিন্তু তাতে ভিড় হচ্ছে খুব। তাই অফিসযাত্রীদের কথা ভেবেই এই লঞ্চ পরিষেবা চালু করা হল। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই উত্তরপাড়া থেকে ফেয়ারলি লঞ্চ চালু হয়েছে। আজ প্রথমদিন শ্রীরামপুর থেকে ফেয়ারলির লঞ্চে ভালো-ই ভিড় হয়। তবে যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব মানার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার কথা বলেন শ্রীরামপুরের পুর প্রশাসক অমিয় মুখোপাধ্যায়। ৪৬ টাকা ভাড়া নিয়েও আপত্তি জানান অনেকে। ভাড়াটা একটু বেশি-ই বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। যাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে ভাড়ার বিষয়টি চিন্তাভাবনা করা হবে বলে জানিয়েছেন অমিয়বাবু।
অন্যদিকে আজ ২৫ জন যাত্রী নিয়ে চন্দননগর থেকে ফেয়ারলির উদ্দেশেও চালু হয় লঞ্চ পরিষেবা। রাজ্য সরকারের পরিবহন দফতরের ব্যবস্থাপনায় আজ-ই প্রথম এই পরিষেবা চালু হল। লঞ্চে মোট ১৩৫ জন যাত্রী উঠতে পারবেন। তবে অনেকেই এই পরিষেবার কথা এখনও জানেন না। তাই প্রথমদিনে যাত্রীসংখ্যা ছিল নগণ্য। মাত্র ২৫ জন। বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিটে ফেয়ারলি থেকে আবার ফিরবে লঞ্চটি। এই লঞ্চের একপিঠের ভাড়া স্থির করা হয়েছে ৬০ টাকা। যাতায়াতে মোট পড়বে ১২০ টাকা।
চন্দননগর রানিঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে প্রথমে ভদ্রেশ্বর তেলিনিপাড়া ঘাটে দাঁড়াবে লঞ্চ। তারপর ভদ্রেশ্বর বাবুঘাট হয়ে লঞ্চ দাঁড়াবে শেওড়াফুলিতে। সেখান থেকে বাগবাজার হয়ে ফেয়ারলি যাবে লঞ্চটি। এদিন লঞ্চে ওঠার আগে সব যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়। প্রত্যেককে মাস্ক পরে লঞ্চে উঠতে হয়। লঞ্চে সবাইকে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসানো হয়। এই পরিষেবায় খুশি যাত্রীরা। তবে তাঁদের দাবি, ভাড়া কিছুটা কম করলে ভালো হয়। আর লঞ্চ ফেরার সময় বিকেল ৪.৪৫-এর পরিবর্তে ৫টা করলে অফিসযাত্রীদের সুবিধা হবে।
আরও পড়ুন, ১৩ পুলিস কর্মীর বদলির জেরে ফের বিক্ষোভ কলকাতা পুলিস ট্রেনিং স্কুলে