ফল প্রকাশের পর থেকেই দফায় দফায় হামলা, খানাকুলে পিটিয়ে খুন TMC কর্মীকে
আরামবাগ মহকুমায় ৪ বিধানসভাই বিজেপির দখলে চলে গিয়েছে। আর তার পরই দফায় দফায় ব্যাপক গন্ডগোল শুরু হয় মহকুমা জুড়ে
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোট পরবর্তি হিংসায় মৃত্যুর খবর আসছে রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে। এদের বেশিরভাগই দক্ষিণবঙ্গে। ইতিমধ্যেই কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় ৬ বিজেপি কর্মী-সমর্থক নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার হুগলির খানাকুলে এক তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন-‘হাতে যা টিকা আছে, এই মাস অবধি চলবে’, আদর পুনাওয়ালার বক্তব্যে উদ্বেগ বাড়ল
রবিবার ভোটের ফল প্রকাশ হতেই খানাকুলের নতিবপুরে সক্রিয় তৃণমূল কর্মী দেবু প্রামাণিকের(৪৮) ঘরে হামলা চালায় বিজেপি সমর্থকরা। এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। বেধড়ক মারধর করা হয় দেবুকে। পাশাপাশি তার ঘর ভাঙচুর করা হয়। মারধর করা হয় পরিবারের লোকজনকেও।
সোমবার সকালে ফের হামলা চালানো হয় দেবু প্রামাণিকের বাড়িতে। প্রবল মারধর করা হয় তাকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেবুকে বাড়িতেই ফেলে রেখে পালায় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থা দেবুকে নতিবপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন বাড়ির লোকজন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃতের ছেলে হেমন্ত প্রামাণিক বলেন, গতকালও মারধর করেছিল। আমরা আরামবাগে(Arambagh) বাবাকে নিয়ে গিয়ে সিটি স্ক্যান করেছিলাম। কার পর আজ ফের হামলা করে বিজেপির লোকজন দুপুরে খাব বলে ছিক করছি এমন সময় হামলা চালায়। বাবা লাফিয়ে অন্য ঘরে চলে যায়। সেখানে গিয়ে বাবাকে প্রবল মারধর করে ওরা। দু পা ভেঙে গিয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানেই মৃত্যু হয় বাবার।
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামের মানুষ জেতাতে চায়নি, হার মেনে নিতে চাইছেন না Mamata: Dilip
ভোটের পর এটাই খানাকুলে(Khanakul) প্রথম খুন। খুন হলেন তৃণমূলেরই কর্মী। গোটা রাজ্যে তৃণমূল এক চেটিয়া ভাবে জিতে সরকার গঠন করলেও আরামবাগ মহকুমায় ৪ বিধানসভাই বিজেপির দখলে চলে গিয়েছে। আর তার পরই দফায় দফায় ব্যাপক গন্ডগোল শুরু হয় মহকুমা জুড়ে।
খুনের ঘটনার পরেই এলাকায় হাজির হয় বিশাল পুলিস বাহিনী। দেবু প্রাণানিকের দুই ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে সংসার। ছোট একটা মুদিখানা দোকান চালিয়ে তার সংসার চলত। ঘটনায় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও গোটা ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।