ইনফোসিসের পর এবার উইপ্রোকেও নিউটাউনে শিল্পের জমিতে আবাসন তৈরির অনুমতি দিল রাজ্য
দীর্ঘ আলোচনার পর গত বছর নিউটাউনে উইপ্রোর প্রকল্পের পাশেই ফ্রি হোল্ডে ৫০ একর জমি পায় ইনফোসিস। শর্ত ছিল অন্তত ৫১ শতাংশ জমিতে তথ্য প্রযুক্তি শিল্প করতেই হবে। বাকি ৪৯ শতাংশ ইচ্ছামতো ব্যবহার করতে পারবে তারা। তার পরই একই শর্তে জমি দাবি করে উইপ্রো।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইনফোসিসের পর এবার উইপ্রোকেও ফ্রি হোল্ডে জমি দিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার নবান্ন সূত্রে একথা জানা গিয়েছে। এর ফলে জমির ৪৯ শতাংশ অংশ ইচ্ছামতো ব্যবহার করতে পারবে সংস্থাটি। ৫১ শতাংশে করতেই হবে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প।
২০১১ সালে ৯৯ বছরের লিজে নিউটাউনে উইপ্রোকে ৫০ একর জমি দেয় তৎকালীন বাম সরকার। উইপ্রোর দাবি ছিল, এসইজেডের মর্যাদা দিতে হবে তাদের প্রকল্পকে। এরই মধ্যে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও ভাবেই এসইজেডের মর্যাদা দেওয়া হবে না রাজ্যের কোনও প্রকল্পকে। বদলে এসইজেডের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা সংস্থাকে দিতে রাজি সরকার। তবে তাতে রাজি ছিল না ইনফোসিস ও উইপ্রো। গত ৮ বছর ধরে জারি ছিল অচলাবস্থা।
দীর্ঘ আলোচনার পর গত বছর নিউটাউনে উইপ্রোর প্রকল্পের পাশেই ফ্রি হোল্ডে ৫০ একর জমি পায় ইনফোসিস। শর্ত ছিল অন্তত ৫১ শতাংশ জমিতে তথ্য প্রযুক্তি শিল্প করতেই হবে। বাকি ৪৯ শতাংশ ইচ্ছামতো ব্যবহার করতে পারবে তারা। তার পরই একই শর্তে জমি দাবি করে উইপ্রো। সমস্যা সমাধানে গত মাসে মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে ছিলেন শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
রাজ্যের বর্তমান শিল্প পরিস্থিতি ও রাজ্যের কোষাগারের কথা বিবেচনা করে উইপ্রোকেও ফ্রি হোল্ডে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। নিউটাউনের ওই জমির জন্য ইতিমধ্যে সরকারকে ৭৫ কোটি টাকা দিয়েছে উইপ্রো। কিন্তু ফ্রি হোল্ডে জমি পেতে গেলে তাদের আরও টাকা দিতে হবে সরকারকে। ফলে ভরবে সরকারি কোষাগার।
নানুরে বিজেপি কর্মী খুনে মূল অভিযুক্ত ‘পলাতক’ তৃণমূল নেতা কেরিম খান জি ২৪ ঘণ্টার ক্যামেরাবন্দি!
ওই জমিতে সংস্থার কলকাতায় দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। সেখানে অন্তত ১০,০০০ কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে দাবি তাদের।