Malbazar: গ্রিল ভেঙে ঘরে ঢুকে এল দলছুট দাঁতাল! তার শুঁড়ের সামনে দুই শিশু-সহ অসহায় মা...
Malbazar: সারারাত গোটা গ্রাম এখন জেগে থাকছে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? রাতে বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়াই যেন হাতিটির নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন দফতর দ্রুত কোনও পদক্ষেপ না করলে যে কোনও সময়ে বড়সড় বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। আতঙ্কে ভুগছে গোটা এলাকা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গ্রিলের দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর ঢুকে এল দলছুট এক দাঁতাল। দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে কোনও রকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচলেন অসহায় মা। হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার গভীর রাতে ডুয়ার্সের নাগরাকাটার আংরাভাসা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের আপার কলাবাড়ি বস্তিতে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: ছিঁড়ে দেওয়া হল মহিলাকর্মীর শাড়ি? দিনহাটায় মুখোমুখি তৃণমূল-বিজেপি...
ওই রাতেই পরপর হামলা চালিয়ে ৬টি বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বেপরোয়া হাতিটি। বেশ কিছুদিন ধরেই আপার কলাবাড়ির 'ডন' হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠা দাঁতালটি রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে এলাকাবাসীর। বন দফতরের ডায়না রেঞ্জের রেঞ্জার অশেষ পাল বলেন, হাতির গতিবিধির প্রতি সতর্ক নজর রেখে চলা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণের জন্যে আবেদন করলে নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন।
স্থানীয় সূত্র এবং বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হাতিটি প্রথমে রেখা ছেত্রী নামক এক মহিলার বাড়ির বেড়া ভেঙে উঠোনে ঢুকে পড়ে। এরপর বারান্দার দরজার গ্রিল ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢুকে যায়। ঘরে হাতি ঢুকেছে বুঝতে পেরে দুই ছেলেমেয়েকে কোলে নিয়ে হাতির পাশ দিয়েই কোনরকমে পালিয়ে যান ওই মহিলা। ওই বাড়িতে একটি স্কুটি ছিল। দাঁতালটি সেটি শুঁড়ে তুলে আছাড় দিয়ে ভেঙে দেয়। পরে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে রীতিমতো আতঙ্কে ঘামতে থাকেন রেখাদেবী। তিনি বলেন, এই নিয়ে ৭ দিনের মধ্যে দুবার বাড়িতে দাঁতালটির হামলা হল। কী ভাবে বেঁচে থাকব বুঝে ওঠাই দায়। রেখাদেবীর স্বামী কাজের সূত্রে কেরালায় থাকেন। দুই বাচ্চাকে নিয়ে তিনি এখন রাতে আর দুচোখের পাতা এক করতে পারছেন না!
আরও পড়ুন: Bengal Weather: বঙ্গে প্রবেশ করেও 'আটকে' মৌসুমী বায়ু, তীব্র তাপদাহে আর কতদিন পুড়বে বাংলা?
জানা যায়, রেখাদেবীর বাড়ি তছনছ করে সেখান থেকে বেরিয়ে এরপর বেপরোয়া হাতিটি একে একে হামলা চালায় সীতা ছেত্রী, রাজু রাই, সাগর থাপা, প্রীতম পোড়েল ও রুদ্র বাহাদুর ছেত্রী নামের আরও ৫ জনের বাড়িতে। আক্রান্তের একজন রুদ্র বাহাদুর বলেন, বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়াই যেন হাতিটির নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন দফতর দ্রুত কোনও পদক্ষেপ না করলে যে কোনও সময়ে বড়সড় বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে আমাদের এলাকায়। সারারাত গোটা গ্রাম এখন জেগে থাকছে।