বিয়ে মানেনি পরিবার, 'প্রতারণা' প্রেমিকার, আত্মহত্যা করল প্রেমিক
ছাত্রীর বাড়িতে এই সম্পর্ক মানেনি। যুগল পালিয়ে গিয়ে স্থানীয় একটি দুর্গা মন্দিরে বিয়ে করে।
![বিয়ে মানেনি পরিবার, 'প্রতারণা' প্রেমিকার, আত্মহত্যা করল প্রেমিক বিয়ে মানেনি পরিবার, 'প্রতারণা' প্রেমিকার, আত্মহত্যা করল প্রেমিক](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/01/27/172024-gg.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন : মিথ্যে মামলায় ফাঁসাচ্ছে প্রেমিকার বাড়ির লোকজন। অভিযোগ শুধু তাকে নয়, ফাঁসানো হচ্ছে তাঁর নিরপরাধ বাবা মা ও ভাইকেও। রাগে ,অভিমানে শেষমেশ আত্মহননের পথ বেছে নিল প্রেমিক। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করল প্রেমিক। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার রতুয়ায় মহানন্দ টোলায়।
মালদার মানিকচকের এনায়েতপুর নওয়াদা গ্রামের বাসিন্দা অলক রজক। দীর্ঘ তিন বছর ধরে গ্রামের ই এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল মানিকচক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র অলকের। ওই ছাত্রী এনায়েতপুর হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত । কিন্তু ছাত্রীর বাড়িতে এই সম্পর্ক মানেনি। এরপরই যুগল পালিয়ে গিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। জানা গিয়েছে, ৪ জানুয়ারি স্থানীয় একটি দুর্গা মন্দিরে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করে অলক। তারপর দুজনে গা ঢাকা দেয়।
আরও পড়ুন, সিনেমায় সুযোগ দেওয়ার নামে সিরিয়ালের অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রতারণা প্রযোজকের
এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবার প্রেমিক অলক ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে মানিকচক থানায়। যুগলকে খুঁজে বের করে পুলিস। অভিযোগ, প্রেমিক অলককে হুমকি দেয় ওই ছাত্রীর বাড়ির লোকজন। সঙ্গে পুলিসও চাপ দেয়। শেষমেশ ওই ছাত্রীকে বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু তারপরেও ওই ছাত্রীর বাড়ির লোকজন ক্রমাগত চাপ ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। অলক ও তার পরিবারের লোকেদের গ্রেফতারির দাবি জানাতে থাকে ওই ছাত্রীর পরিবার।
অভিযোগের ভিত্তিতে এরপর অলকের মাকে গ্রেফতার করে মানিকচক থানার পুলিশ। সেই সময় রতুয়ার মহানন্দ টোলা গ্রাম পঞ্চায়েতে মাসির বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল অলক। শেষে শনিবার রাতে মাসির বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। আত্মহত্যার আগে বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সুইসাইড নোট লেখে অলক। সুইসাইড নোটে আত্মহত্যার জন্য প্রেমিকা ও তার বাড়ির লোকদের দায়ি করে।
আরও পড়ুন, মোবাইলে ছবি তুলতে গিয়ে, হাতির হানায় মৃত্যু বাংলাদেশের জাতীয় দলের প্রচার সচিবের
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজ দেখেই তড়িঘড়ি অলকের মাসির বাড়ি ছুটে আসে তাঁর বন্ধুরা। এরপরই ঘর থেকে উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে রতুয়া থানার পুলিশ।