আইন পাসের পরেও গুজব ঘিরে জামুড়িয়ায় গণপিটুনির শিকার যুবক
সাতগ্রাম এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেই তাঁদের উপর চড়াও হন স্থানীয়রা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : গণপিটুনি রুখতে আইন এনেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি যে খুব একটা বদলায়নি, যে তিমিরে ছিল সেখানেই রয়ে গিয়েছে, প্রমাণ করল পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার ঘটনা। গুজবের জেরে ফের গণপিটুনির শিকার হলেন এক যুবক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন দুয়েক ধরে জামুড়িয়ার সাতগ্রাম এলাকায় একটি গুজব ছড়িয়েছিল। সেই গুজবকে কেন্দ্র করেই গ্রামবাসীদের সন্দেহের তির গিয়ে পড়ে ২ যুবকের উপর। তাঁদের উপর নজর রাখতে শুরু করে এলাকাবাসী। এরপর আজ সকালে সেই ২ যুবককে সাতগ্রাম এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেই তাঁদের উপর চড়াও হন স্থানীয়রা। শুরু হয় মারধর। একজন কোনওমতে সেখানে থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। দ্বিতীয়জন গণপিটুনির শিকার হন। তাঁকে রাস্তায় ফেলে চলে বেধড়ক মার।
গণপিটুনির খবর পেয়েই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে জামুড়িয়া থানার পুলিস। বিক্ষোভের মুখ থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে কী কারণে ওই দুই যুবক সাতগ্রাম এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল? কী থেকে গুজব ছড়াল? গণপিটুনির ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে জামুড়িয়া থানার পুলিস।
আরও পড়ুন, বিধানসভায় মারামারি! শুভেন্দুর দিকে তেড়ে গেলেন কংগ্রেস বিধায়ক, ওয়েলে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী
উল্লেখ্য, ৩০ অগাস্ট বিধানসভায় পাস হয় গণপিটুনি প্রতিরোধ বিল। কী বলছে এই বিল? বিলে বলা হয়েছে, ২ জন বা তার বেশি লোকজন মিলে কাউকে মারলে তা গণপিটুনি হিসেবে গণ্য হবে। গণপিটুনিতে মৃত্যুর অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ন্যূনতম যাবজ্জীবন জেল এবং ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। গণপিটুনিতে কেউ গুরুতর আহত হলে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। গণপিটুনিতে অল্প আহত হলে অভিযুক্তদের ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা।