সূর্য ছাড়া এই প্রথম কোনও নক্ষত্রের স্পষ্ট ছবি তুললেন গবেষকরা
সারস রাশিতে অবস্থিত পাই ওয়ান গ্রুইসকে শুধুমাত্র দক্ষিণ গোলার্ধ থেকেই দেখা যায়। গবেষকদের পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, শক্তির পরিবহনের জন্য সূর্যে যেখানে অন্তত ১০ লক্ষ 'কনভেকটিভ সেল' রয়েছে সেখানে পাই ওয়ান গ্রুইস-এ এই ধরণের সেলের সংখ্যা হাতে গোনা।
ওয়েব ডেস্ক: এই প্রথম সূর্য ছাড়া অন্য কোনও নক্ষত্রের স্পষ্ট ছবি তুললেন গবেষকরা। চিলির আতাকামা মরুভূমিতে অবস্থিত অত্যাধুনিক ইন্টারফেরোমেটিক দূরবীণ ব্যবহার করে এই ছবি তুলেছেন তাঁরা। পাই ওয়ান গ্রুইস নামে এই নক্ষের ছবি ইতিমধ্যে শোরগোল ফেলেছে বিশ্বজুড়ে।
সূর্য থেকে ৫৩০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত পাই ওয়ান গ্রুইস আকারে সূর্য থেকে ৩৫০ গুণ বড়। বিজ্ঞানীদের অনুমান, ৫০০ কোটি বছর পর জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে এমন আকার ধারণ করতে পারে সূর্য। ফলে এই তারাকে পর্যবেক্ষণ করে সূর্যের পরিণতি অনুমান করা সম্ভব।
ইন্টারফেরোমিটার নামে অত্যাধুনিক এক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ছবি তুলেছেন জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। এই পদ্ধতিতে আলোকরশ্মির সামান্যতম তারতম্যও মেপে ফেলা সম্ভব। বর্তমানে শুধুমাত্র জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির কাছেই রয়েছে এই প্রযুক্তি।
আরও পড়ুন - করাতে হবে না রিচার্জ, ১ জিবির বদলে এবার থেকে দিনে ১.৫ জিবি ডেটা দেবে জিও
সারস রাশিতে অবস্থিত পাই ওয়ান গ্রুইসকে শুধুমাত্র দক্ষিণ গোলার্ধ থেকেই দেখা যায়। গবেষকদের পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, শক্তির পরিবহনের জন্য সূর্যে যেখানে অন্তত ১০ লক্ষ 'কনভেকটিভ সেল' রয়েছে সেখানে পাই ওয়ান গ্রুইস-এ এই ধরণের সেলের সংখ্যা হাতে গোনা। গবেষকরা বলছেন, মার্ধাকর্ষণ শক্তি কম হওয়াতেই 'কনভিকটিভ সেল'-এর সংখ্যা এত কম ওই নক্ষত্রে। নক্ষত্রের পৃষ্ঠে 'কনভিকটিভ সেল' দেখা পাওয়া খুব মুশকিল। প্রকাণ্ড তারাগুলির আবহমণ্ডল ধূলিকণায় ঢাকা থাকায় পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে তার পৃষ্ঠ দেখতে পাওয়া বর্তমান প্রযুক্তিতে অসম্ভব।