রাজ ঘড়ির অসুখ, স্তব্ধ ইতিহাস
সময়, সবচেয়ে শক্তিশালী। সময়ের সামনে, বাকি সব শূন্য। যতই টিক টিক করে চলুক, এর গতির আগে যাওয়ার সাধ্য কারো নেই। সেই সময়েরই, ঘোর অসময় চলছে বর্ধমানে। থেমে গিয়েছে রাজ-ঘড়ি। স্তব্ধ ইতিহাস।
![রাজ ঘড়ির অসুখ, স্তব্ধ ইতিহাস রাজ ঘড়ির অসুখ, স্তব্ধ ইতিহাস](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2017/03/30/82014-ben.jpg)
ওয়েব ডেস্ক: সময়, সবচেয়ে শক্তিশালী। সময়ের সামনে, বাকি সব শূন্য। যতই টিক টিক করে চলুক, এর গতির আগে যাওয়ার সাধ্য কারো নেই। সেই সময়েরই, ঘোর অসময় চলছে বর্ধমানে। থেমে গিয়েছে রাজ-ঘড়ি। স্তব্ধ ইতিহাস।
ঐতিহাসিক বিলিতি ঘড়ি। রাজ আমলে তৈরি। শতবর্ষ পেরিয়ে আজ বৃদ্ধ। চলার ক্ষমতা হারিয়ে, পঙ্গু। কাঁটা থমকে দাঁড়িয়ে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় আর আওয়াজ শোনা যায় না। বর্ধমানের মহারাজের বেনসন ক্লক বা অঞ্জুমান ঘড়ি সারাতে মহা বিড়ম্বনায় পড়েছে প্রশাসন। ঘড়ি সারাইয়ের কারিগরের খোঁজ পেতে, রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আসরে নেমেছে বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা বা বিডিএ।
বেশ কয়েক বছর হল, বর্ধমান মহারাজার বৃদ্ধ ঘড়ি আর সময় দেখাতে পারছে না। বর্ধমানের মহারাজ বিজয়চাঁদ মহতাব রাজবাড়ির প্রবেশপথের মাথায় ক্লক টাওয়ার বসান। ১৯১২ সালে অঞ্জুমান কাছারি ভবনের মাথায় বসানো হয় এই ঘড়ি। গোটা এলাকার বাসিন্দারা চারদিক থেকে এই ঘড়িতে সময় দেখতে পেতেন।
ঘড়ি প্রস্তুতকারক, লন্ডনের জে ডব্লু বেনসন সংস্থা। রাজ আমলেও এই ঘড়ি বিকল হয়, তবে সেইসময় সংস্থার কর্মীরাই তা মেরামত করে দেন। এরপরও বহুবার ঘড়ি বন্ধ হয়েছে। সারাইও হয়। তবে ফের খারাপ হতে বেশি সময় লাগেনি।
এবার বন্ধ ঘড়ি ফের সচল করতে, উদ্যোগী বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা। সারাইয়ের জন্য ডাকা হয় টেন্ডার। রাজার ঘড়ি ফের কবে থেকে সময় দেখায়, এখন তারই অপেক্ষা। ঐতিহাসিক এই ঘড়িকে ইতিহাস হতে দিতে নারাজ বর্ধমান। (আরও পড়ুন- মাত্র ১৬ টাকায় সারা মাসের ডেটা!)