ইতিহাসের সবচেয়ে বড় টাইফুনে ফিলিপিন্সের তিনতলা বাড়ি উড়ে গেল গাছে, মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়ল
২০১৩ সালের ৮ নভেম্বর। ফিলিপিন্স সাক্ষী থাকল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঝড়ের। ঘণ্টায় প্রায় ৩০০ কিলোমিটার বেগে মধ্য ফিলিপিন্সে আছড়ে পড়ল সুপার টাইফুন হাইয়ান। ক দিন আগে ওড়িশায় পাইলিন যে ঝড় আছড়ে পড়েছিল শক্তির নিরিখে ফিলিপিন্সের এই ঝড় তার প্রায় দেড় গুণ।
২০১৩ সালের ৮ নভেম্বর। ফিলিপিন্স সাক্ষী থাকল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঝড়ের। ঘণ্টায় প্রায় ৩০০ কিলোমিটার বেগে মধ্য ফিলিপিন্সে আছড়ে পড়ল সুপার টাইফুন হাইয়ান। ক দিন আগে ওড়িশায় পাইলিন যে ঝড় আছড়ে পড়েছিল শক্তির নিরিখে ফিলিপিন্সের এই ঝড় তার প্রায় দেড় গুণ। শক্তির নিরিখে যা শীর্ষ স্থানে (ক্যাটিগরি-৫)। ঝড়ো হাওয়ার পরই মুষল ধারে বৃষ্টি নামে। এরপর ভূমিধস শুরু হয়।
বছরে গড়ে কুড়িটা ঝড় দেখে অভ্যস্ত ফিলিপিন্সবাসীরাও যা দেখে অবাক। অনেকেই বলছেন, ঝড়ের এমন ভয়নাক রূপ তারা দেখেননি। এই ঝড়ে মৃত্যের সংখ্যা ১০০ ছাড়াল। জোরকদমে চলছে উদ্ধার কাজ। ইতিমধ্যেই প্রায় দশ লক্ষ মানুষকে ৩৭টি নিরাপদ ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন্যা, ভূমিধসের ফলে এখনও বেশকিছু জায়গায় পৌঁছতে পারেনি উদ্ধারকারী দল। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। শুক্রবারই ফিলিপিন্সে আছড়ে পড়ে ক্ষমতায় পাঁচটি হারিকেন ঝড়ের সমান এই টাইফুন। এরপর থেকেই কার্যত বিপর্যস্ত ফিলিপিন্স। এত বড় ঝড়ের মৃতের সংখ্যা এত কম হওয়ার পিছনে তাকল প্রশাসনিক তত্পরতা, আর আবহবিদদের নির্ভুল `ভবিষ্যতবানী`।
রাজধানী ম্যানিলা থেকে ছ’শো কিলোমিটার দক্ষিণপূর্ব অঞ্চল সমরে হাইয়ানে সব চেয়ে ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের পর এই অঞ্চলের এক তিনতলা বাড়ির বেশ কিছু অংশ গাছের মধ্যে ঝুলতে দেখা গিয়েছে। উপকূলবর্তী এই অঞ্চলে এখনও টেলিপরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি, অনেক জায়গায় বিদ্যুতও নেই।
দাপট দেখানোর পর হাইয়ার প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত চলচে। দক্ষিণ চিন সাগর ধরে ভিয়েতনামের দিকে এগোচ্ছে হাইয়ান।