একটি তারার জন্ম...
মহাজাগতিক বিরল দৃশ্যকে লেন্সবন্দি করলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। চিলিতে ইউরোপিয়ান সাদার্ন অবজারভেটরির টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে ১৪০০ আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্রের জন্মানোর ছবি।
মহাজাগতিক বিরল দৃশ্যকে লেন্সবন্দি করলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। চিলিতে ইউরোপিয়ান সাদার্ন অবজারভেটরির টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে ১৪০০ আলোকবর্ষ দূরে একটি নক্ষত্রের জন্মানোর ছবি।
ব্রহ্মাণ্ডে প্রতিনিয়ত চলছে ভাঙাগড়ার খেলা। জন্ম নিচ্ছে কোনও নক্ষত্র। কেউ আবার শক্তি ফুরিয়ে নিঃশেষিত হচ্ছে কৃষ্ণগহ্বরে। তেমনই একটি বিরল দৃশ্য ধরা পড়েছে চিলিতে ইউরোপিয়ান সাদার্ন অবজারভেটরির টেলিস্কোপে।
নক্ষত্রপুঞ্জ বা ছায়াপথে গ্যাস এবং মহাজাগতিক ধুলিকণা মিলিতভাবে একটি মেঘের মতো আস্তরণ সৃষ্টি করে। এই মেঘে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসের মিলিত চাপ, ছায়াপথের অভ্যন্তরীণ মহাকর্ষ বলের থেকে বেশি হলে, বিস্ফোরণের মাধ্যমে অতি দ্রুত শক্তি নিগর্মণ করে নক্ষত্রের জন্ম হয়। যদিও গোটা প্রক্রিয়াটা সম্পূর্ণ হতে লেগে যায় একশো কোটি বছর। চিলির টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে ১৪০০ আলোকবর্ষ দূরে ভেলা ছায়াপথে এমনই এক শক্তি নির্গমণের ছবি।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে ছায়াপথের একটি অংশ থেকে ঘণ্টায় ছলক্ষ একুশ হাজার মাইল গতিতে মহাজাগতিক ধুলিকণা ও গ্যাস নিক্ষিপ্ত হচ্ছে। এর পরবর্তী পর্যায়ে কয়েক কোটি বছর পরে ধীরে ধীরে জন্ম নেবে একটি সম্পূর্ণ নক্ষত্র। বিরল এই দৃশ্যে উত্তেজিত ইউরোপিয়ান সাদার্ন অবজারভেটরির জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ব্রহ্মাণ্ডে নক্ষত্রের গবেষণায় এই অভিজ্ঞতা যথেষ্ট কাজে লাগবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।