চিনা যুবতীরা `নট রেডি টু মিঙ্গল`

সাতাশ পেরোলেই বিপদ। তখন বিয়ের বাজারে মেয়েদের আর চাহিদা থাকবে না। তাই মেয়ের বয়স ২৭ হওয়ার আগেই বিয়ে দিতে চান অভিভাবকরা। কারণ শিক্ষা-দীক্ষা বা রূপ নয়। চিন দেশে মেয়েদের বিয়ের জন্য বয়সই হল শেষ কথা। তবে সকলেই যে সাতাশেই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন, তেমনটাও নয়। যাঁরা পারছেন না, মানে যাঁরা লেফ্ট ওভার, তাঁদের কাছে কিন্তু বিবাহিত জীবনের চেয়ে সিঙ্গল থাকার মজাই আলাদা।

Updated By: Aug 26, 2013, 11:59 AM IST

সাতাশ পেরোলেই বিপদ। তখন বিয়ের বাজারে মেয়েদের আর চাহিদা থাকবে না। তাই মেয়ের বয়স ২৭ হওয়ার আগেই বিয়ে দিতে চান অভিভাবকরা। কারণ শিক্ষা-দীক্ষা বা রূপ নয়। চিন দেশে মেয়েদের বিয়ের জন্য বয়সই হল শেষ কথা। তবে সকলেই যে সাতাশেই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন, তেমনটাও নয়। যাঁরা পারছেন না, মানে যাঁরা লেফ্ট ওভার, তাঁদের কাছে কিন্তু বিবাহিত জীবনের চেয়ে সিঙ্গল থাকার মজাই আলাদা।
চিন দেশে মেয়েদের কাছে ২৭ সংখ্যাটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ২৭ বছর পেরিয়ে গেলেই বিয়ের বাজারে মেয়েদের চাহিদা কমে যায়। তবে তাই বলে কি আর ২৭-এর পরেও চিনে মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না। হচ্ছে। তবে সংখ্যাটা সামান্যই। পুরুষরা চাইলেও, চিন দেশে সাতাশোর্দ্ধ মেয়েদেরই নাকি বিয়েতে অনিহা। বরং তাঁদের পছন্দ একা থাকা। যেমনটা হিউনান প্রদেশের ঝ্যাং ইউয়ের। বয়স ২৬। তবু এখন থেকেই সিঙ্গল থাকার পক্ষে মত এই তরুণীর। সম্প্রতি হিউনান ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন শাংহাই। জীবনকে নতুন ভাবে উপলদ্ধি করতে চান তিনি। তাই ছকে বাঁধা জীবন-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেই, বিয়ে নামক শব্দটাকে জীবন থেকে ঝেড়ে ফেলতে চান ঝ্যাং ইউ।
 
বছর ৩২-এর ল্যান ফ্যাং শাংহাইয়ের একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত। বিয়ে করেন নি। এবং বিয়ে না করে তিনি যে কতো ভালো আছেন, তা বোঝাতে একটি বইও লিখে ফেলেছেন ল্যান ফ্যাং। 
 
শুধু সেল্ফ ফ্রিডম নয়। চিনে স্বামীদের অত্যাচার থেকে বাঁচার বিশেষ উপায় নেই নারীদের। কারণ সেদেশের আইন। ফলে পারিবারিক অশান্তি কিম্বা মানসিক ও শারিরীক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেও বহু নারীই আর বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান না।
 
এমনকি সম্পত্তির ক্ষেত্রেও চিনে বিবাহিত নারীদের খুব একটা অধিকার নেই। তাই ২০১২-এর একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ইদানিং নারীদের মধ্যে বিয়ে করার ইচ্ছেটা ক্রমশ ফিকে হয়ে গিয়েছে।  
 
চিনের মত একটি দেশে যেখানে নারীদের বিয়ে করতে চাপ দেওয়া হয়, বোঝানো হয় একাকীত্বের কি যন্ত্রণা, সেখানে নারীদের ক্রমর্ধমান বিয়ে না করার ইচ্ছা বেড়ে যাওয়া চিন্তিত প্রশাসন।
 

.