প্রাণের সন্ধানে মঙ্গলের মাটিতে কিউরিওসিটি
সফল হল নাসার বিজ্ঞানীদের যাবতীয় প্রচেষ্টা। মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করল নাসার বিশেয যান কিউরিওসিটি। মঙ্গলের দক্ষিণ গোলার্ধে অবতরণ করে পরমাণু শক্তি চালিত রোবো যান। অবতরণের পর, এই যানের কাজ হবে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করা।
সফল হল নাসার বিজ্ঞানীদের যাবতীয় প্রচেষ্টা। মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করল নাসার বিশেয যান কিউরিওসিটি। মঙ্গলের দক্ষিণ গোলার্ধে অবতরণ করে পরমাণু শক্তি চালিত রোবো যান। অবতরণের পর, এই যানের কাজ হবে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করা। শুধু তাই নয়, যে কোনও পাথরের মতো বস্তুকেও গুঁড়িয়ে দিতে পারে কিউরিওসিটি।
পরমাণু শক্তি চালিত রোবো যান কিউরিওসিটি আকারে স্পোর্টস কারের মতো। দৈর্ঘ্যে ১০ ফুট, প্রস্থে ৭ ফুট। ওজন ১০ টন। ঘণ্টায় ৮০০০ মাইল বেগে মোট ৩৫ কোটি মাইল পাড়ি দিয়ে মঙ্গলের মাটি ছুঁয়েছে কিউরিওসিটি। কিউরিওসিটিকে মঙ্গলে নামাতে বাহান্ন ফুট ব্যাসের সুপারসনিক প্যারাশুট ও স্কাই ক্রেন ব্যবহার করা হয়। অবতরণের আগে নাসার সঙ্গে যোগযোগ ছিল না প্রায় ৭ মিনিট মতো। অবশেষে নাসার যাবতীয় উত্কণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলের মাটি ছুঁল রোবো যান।
কিউরিওসিটিকে পৃথিবীতে ফেরানো গেলে মঙ্গলের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। এর ফলে মঙ্গল নিয়ে গবেষণা বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। অবতরণের সময় কিউরিওসিটির সমস্ত যন্ত্রাংশও আশানুরূপ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ২৫০ কোটির এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বহু ভারতীয় বিজ্ঞানী।