রণক্ষেত্র ফুটবল মাঠ, মিশরে মৃত ৭৪
ফুটবল দাঙ্গায় মিশরে প্রাণ গেল ৭৪ জনের। আহত শতাধিক। বুধবার সেদেশের পোর্ট সইদ শহরে এই ঘটনায় মোবারক পরবর্তী জমানায় মিশরবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল।
ফুটবল দাঙ্গায় মিশরে প্রাণ গেল ৭৪ জনের। আহত শতাধিক। বুধবার সেদেশের পোর্ট সইদ শহরে এই ঘটনায় মোবারক পরবর্তী জমানায় মিশরবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল।
এদিন উপকূলীয় শহর পোর্ট-সইদ শহরের ফুটবল দল আল-মিশরির সঙ্গে কায়েরোর দল আল-আহলির ম্যাচ ছিল। ৩-০ গোলে হেরে যায় আল-মাসরি। সফররত দলের কাছে শহরের দলের হার মেনে নিতে পারেননি মাসরি-সমর্থকরা। গ্যালারি ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন তাঁরা। এর পর শুরু হয় দাঙ্গা। আল-আহলি সমর্থকদের ওপর লোহার রড, পাথর, আতসবাজি দিয়ে হামলা চালায় আল-মাসরি সমর্থকরা। দাঙ্গা থামাতে ময়দানে নামে রায়ট পুলিশ ও সেনাবাহিনী। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর মিলেছে। ১৯৯৬ সালের পর এত বড় ফুটবল দাঙ্গা দেখেনি বিশ্ব।
আল-সইদে সংঘর্ষ শুরুর সময় মিশরের রাজধানী কায়রোতেও একটি ফুটবল ম্যাচ চলছিল। খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে উত্তেজিত হয়ে পড়েন সমর্থকরা। গ্যালারিতে অগ্নিসংযোগ করেন। এর পর খেলা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। অগ্নিনির্বাপক দল দ্রুত সক্রিয় হওয়ায় তেমন ক্ষতি হয়নি।
ঘটনায় হোসনি মোবারক-উত্তর মিশরে শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে। যদিও আল-সইদবাসীর দাবি, বিশৃঙ্খলা তৈরি করে ক্ষমতা দখলে রাখতে দাঙ্গা ছড়িয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। ৭৪ জন ফুটবলপ্রেমীর মৃত্যুতে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে।