Bangladesh Office Timing Changed: বড় সিদ্ধান্ত সরকারের, ১৫ নভেম্বর থেকে অফিস শুরু সকাল ৯টা থেকে
আগস্ট মাসে দেশে বিদ্যুত্ ঘাটতি এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে দেশের কোনও কোনও জায়গায় সিনেমা হল রাত এগারোটায়, হোটেল-রেস্তঁরাগুলি রাত দশটায় বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বদলে যাচ্ছে অফিস শুরুর সময়। আগামী মাসের ১৫ তারিখ থেকে বাংলাদেশের সরকারি অফিস শুরু হচ্ছে সকাল ৯টা থেকে। ছুটি বিকেল ৪টেয়। সোমবার এক বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে আজ একথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদের সচিব খন্দেকার আনোয়ারুল ইসলাম। বৈঠকে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। সরকারি অফিসের টাইমিং ঠিক করার পাশাপাশি ঠিক হয়েছে বার্ষিক ছুটির দিনও। আগামী বছর সরকারি ছুটি থাকবে মোট ২২ দিন।
আরও পড়ুন-হাত পেছন থেকে বাঁধা! কন্যাসন্তান জন্মের পরই হাসপাতালে মিলল প্রসূতির মৃতদেহ
সোমবার ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের খন্দেকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কাজের সময়ের রদবদল করা হয়েছে। শীত এসে যাওয়ায় সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম শুরু হবে সকাল ৯টা। কাজ শেষ হবে বিকেল ৪টেয়।
কেন এমন নির্দেশিকা। বর্তমানে প্রবল বিদ্যুত্ সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিছু দিন আগে গ্রিড বিপর্যয়ে বাংলাদেশের বিরাট অংশে বিদ্যুত চলে যায়। প্রবল সমস্যায় পড়ে যায় হাসপাতাল, বহুতল, কারখানা-সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় বিদ্যুত্ ফিরিয়ে আনতে সমর্থ হয় দেশের বিদ্যুত্ দফতর। এর পাশাপাশি রয়েছে দেশে প্রবল বিদ্যুত্ ঘাটতি। সেকথা মাথায় রেখে গত ২২ অগাস্ট সরকার ঘোষণা করে সরকারি, আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে কাজ শুরু হবে সকাল দশটার পরিবর্তে সকাল ৮টায়। কাজ শেষ হবে বিকেল তিনটেয়। ব্যাঙ্কের কাজ শেষ হবে সকাল ৯টায়। এতে বিদ্যুত্ খরচ অনেকটাই বাঁচবে। সেই পথে হেঁটেই এবার শীতের কথা মাথায় রেখে সরকারি অফিস খোলার নতুন সময় ঘোষণা করা হল।
এবছর আগস্ট মাসে দেশে বিদ্যুত্ ঘাটতি এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে দেশের কোনও কোনও জায়গায় সিনেমা হল রাত এগারোটায়, হোটেল-রেস্তঁরাগুলি রাত দশটায় বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় দিন ৩-৪ বার বিদ্যুত্ চলে যাচ্ছিল। ফলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ থেকে বাঁচতে ঘোষণা করা শুরু হয় কখন বিদ্যুত্ সরবারহ বন্ধ রাখা হবে।
উল্লেখ্য, দেশের অনেকটাই বিদ্যুত্ আসে ডিজেল জেনারেটার থেকে। খরচ কমাতে সেইসব জেনারেটরও বন্ধ রাখতে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের একশো শতাংশ জ্বালানি তেল আসে বিদেশ থেকে। যে পরিমাণ ডিজেল আমদানি করা হয় তার ১০ শতাংশ খরচ করা হয় বিদ্যুত্ উত্পাদনে। বাকী ৯০ শতাংশ পরিবহণ, কৃষিকাজে ব্যবহার করা হয়।