হিজাব ছাড়াই প্রতিযোগিতায় ইরানের এলনাজ রেকাবি, গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বাড়ি
রেকাবি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট এবং সরকারি মিডিয়া IRNA-র সঙ্গে সাক্ষাত্কারে জানিয়ছেন যে তিনি ‘অজান্তেই’ তাঁর হিজাব ছাড়াই প্রতিযোগিতা করেছিলেন। বিদেশে ইরানের প্রতিনিধিত্বকারী নারীদের অবশ্যই হিজাব পরতে হয়। যদিও রেকাবিকে এই মন্তব্য করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইরানের রক ক্লাইম্বার এলনাজ রেকাবির পারিবারিক বাড়িটি ধ্বংস করা হয়েছে। সংস্কারপন্থী সংবাদমাধ্যম ইরানওয়্যার এই খবর জানিয়েছে। এই বছর একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় হিজাব না পরে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এরপরেই চর্চায় আসে রেকাবির নাম। রেকাবি অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াতে হিজাব না পরেই প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন। ঠিক এই সময়েই ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানে শাসক বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। হিজাব না পরার অভিযোগে নীতি পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয় আমিনির। কিছু ইরানি বিক্ষোভকারী রেকাবিকে নারীদের বৃহত্তর স্বাধীনতার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় বিদ্রোহের প্রতীক হিসেবে দেখেছিলেন। তবে, তেহরানে ফিরে আসার পরে মানবাধিকার গোষ্ঠী তার নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে।
ইরানওয়্যার থেকে পাওয়া ফুটেজে একটি ধ্বংস হওয়া কাঠামো এবং বহু মেডেল দেখা যাচ্ছে। ভিডিও ক্লিপটি যে ব্যক্তি রেকর্ড করেছেন তিনি এই বাড়িতে কী ঘটেছে তা বর্ণনা করেন। ভিডিও ক্লিপে রেকাবির ভাই দাউদকেও কাঁদতে দেখা গিয়েছে। ইরানওয়্যার অনুসারে, দাউদ রেকাবি নিজে একজন ক্রীড়া পর্বতারোহী চ্যাম্পিয়ন এবং তার নামে দশটি স্বর্ণপদক রয়েছে।
ফুটেজ রেকর্ড করা ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তিনি ক্যামেরার বাইরে থেকে বলেন, ‘এটি এই দেশে থাকার ফলাফল। এই দেশের জন্য বহু মেডেল নিয়ে আসা দেশের এক চ্যাম্পিয়ন। দেশকে গর্বিত করতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তারা তাকে পিপার স্প্রে করে এবং একটি ৩৯ বর্গমিটার বাড়ি ভেঙে ফেলে এবং চলে যায়। আমি কি বলতে পারি?’
যদিও কখন এই ভাঙচুর করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। যদিও সরকারের নির্দেশে এই ঘটনা ঘটেছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি।
সিওলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় রেকাবির চুলের সঙ্গে পনিটেইলে হেডব্যান্ড পরার ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। যখন তিনি ইরানে ফিরে আসেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিয়োগুলিতে দেখা যায় যে তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘এলনাজ দ্য হিরো’ স্লোগান দিয়ে জনতা তাকে স্বাগত জানাচ্ছে।
পর্বতারোহী তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে সেই সপ্তাহের পরে লিখেছিলেন, ‘আমি আপনাদের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ, ইরানের সমস্ত মানুষ, গ্রহের সবচেয়ে ভদ্র মানুষ। ক্রীড়াবিদ এবং নন-অ্যাথলেট এবং আমতর্জাতিক ক্ষেত্রে আপনাদের সমস্ত সমর্থনের জন্য’।
রেকাবি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট এবং সরকারি মিডিয়া IRNA-র সঙ্গে সাক্ষাত্কারে জানিয়ছেন যে তিনি ‘অজান্তেই’ তাঁর হিজাব ছাড়াই প্রতিযোগিতা করেছিলেন। বিদেশে ইরানের প্রতিনিধিত্বকারী নারীদের অবশ্যই হিজাব পরতে হয়।
যদিও রেকাবিকে এই মন্তব্য করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)