গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল ব্রিক্স বৈঠক
কাল থেকে গোয়ায় শুরু হচ্ছে ব্রিকস সম্মেলন। উরি-কাণ্ডের পর এই প্রথম কোনও বহুদেশিয় শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেবেন নরেন্দ্র মোদী। চিনা প্রেসিডেন্টের সামনেই ব্রিকস সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ইসলামাবাদের ওপর দিল্লি চাপ বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তানকে আরও একঘরে করতে সই হবে দিল্লি-মস্কো ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি।
ওয়েব ডেস্ক: কাল থেকে গোয়ায় শুরু হচ্ছে ব্রিকস সম্মেলন। উরি-কাণ্ডের পর এই প্রথম কোনও বহুদেশিয় শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেবেন নরেন্দ্র মোদী। চিনা প্রেসিডেন্টের সামনেই ব্রিকস সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ইসলামাবাদের ওপর দিল্লি চাপ বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তানকে আরও একঘরে করতে সই হবে দিল্লি-মস্কো ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি।
শনি ও রবিবার গোয়ায় ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত পাঁচ দেশের সম্মেলন। থাকবে চিন ও রাশিয়া। রবিবার, ব্রিকস-বিমস্টেক বৈঠক। সার্কের সদস্য দেশ বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা রয়েছে বিমস্টেকে। উরি-কাণ্ডের পর ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানে সার্ক সম্মেলন বয়কট করে তারা। ফলে, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন সপ্তাহ শেষের দু-দিন গোয়ায় সন্ত্রাসবাদ নিয়ে প্রতিবেশীদের সমালোচনার মুখে পড়বে ইসলামাবাদ।
আরও পড়ুন- কাল পানাজিতে শুরু হচ্ছে অষ্টম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন
সূত্রের খবর, ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে অন্যান্য দেশকে পাশে নিয়ে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াবে ভারত। সম্মেলনের ফাঁকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে জইশ নেতা মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানাতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। উরি সেনা ছাউনিতে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলার পর দিল্লির অস্বস্তি বাড়িয়ে পাকিস্তানে যৌথ সেনা মহড়ায় অংশ নেয় রাশিয়া। এবার ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন নরেন্দ্র মোদী। পাকিস্তানকে একঘরে করতে দু-দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি সই হওয়ার কথা।
সূত্রের খবর, ব্রিকস সম্মেলনে বহু কোটি টাকার ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি সই করবে ভারত-রাশিয়া। রাশিয়ায় তৈরি চারশো কিলোমিটার পাল্লার এই S-400 ট্রিউম ক্ষেপণাস্ত্র একসঙ্গে ছত্রিশটি লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে। শত্রুপক্ষের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে পারদর্শী এই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেলে দেশের সুরক্ষাব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করছে দিল্লি।
আরও পড়ুন-এবার ভারত টেক্কা দিতে পারবে চিনকেও!
যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ এবং যৌথ উদ্যোগে হেলিকপ্টার তৈরি সংক্রান্ত চুক্তিও সই হতে পারে। আর্থিক উন্নয়ন, পর্যটন, যোগাযোগ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আদান প্রদান কী ভাবে আরও বাড়ানো যায় তা নিয়ে ব্রিকস সম্মেলনে কথা হবে। সম্মেলনের আগে টুইটারে এই গোষ্ঠীর দেশগুলির মানুষের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়ানোর কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদী।