কৃষক আন্দোলন নিয়ে অস্বস্তিকর প্রশ্ন জনসনকে, মোদীর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ওই সাংসদের অভিযোগে সায় দেননি। বরং ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে গোটা প্রসঙ্গটাই কায়দা করে এড়িয়ে যান
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গ এবার উঠল ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। কিন্তু তা সুচতুরভাবে এড়িয়ে গেলেন ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
আরও পড়ুন-সরকারের প্রস্তাব খারিজ; জাতীয় সড়ক অবরোধ, দেশজুড়ে ধরনার হুঁশিয়ারি কৃষকদের
ভারতের কৃষক আন্দোলনের জেরে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এবার দিল্লির কৃষক আন্দোলনের ওপরে পুলিসি পদক্ষেপের প্রসঙ্গ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তুললেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ তনমনজিত্ সিং দেশি।
তনমনজিত্ সিং বলেন, ভারতে পঞ্জাব-সহ একাধিক রাজ্যের কৃষকরা দিল্লিতে এক কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। দেখছি তাদের ওপরে নির্বিচারে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছোড়়া হচ্ছে। একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপরে বলপ্রয়োগ করেছে পুলিস। এরকম এক অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী কি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের উদ্বেগের কথা বলবেন? তাঁকে কি বুঝিয়ে দেবেন শান্তিপূর্ণ উপায়ে সবার আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে!
এক ব্রিটিশ সাংসদের ওইরকম বেয়াড়া প্রশ্নে বিপাকে পড়ে যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তবে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর মতো তিনি এনিয়ে ভারতের বিরু্দ্ধে কোনও মন্তব্য করেননি। ওই সাংসদের অভিযোগে সায়ও দেননি। বরং ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে গোটা প্রসঙ্গটাই কায়দা করে এড়িয়ে যান।
আরও পড়ুন-'পুরনো দ্বন্দ্ব ভুলে একসঙ্গে কাজ করো', দুর্গাপুরে তৃণমূল নেতা ও কাউন্সিলরদের বার্তা মমতার
বরিস জনসন বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বর্তমানে কেমন সম্পর্ক তা ভালোই জানেন মাননীয় সাংসদ। কিন্তু ওইসব বিষয় একেবারেই দুদেশের মধ্যেকার বিষয়। এটা তাদেরই সমাধান করতে হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গুরু নানকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক অনলাইন আলোচনা সভায় ভারতে কৃষক আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আবেদন করেন তিনি। বলেন, সবসময় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের পাশে রয়েছে কানাডা।