SpaceX Moon Trip: আসন্ন নতুন বছরে চাঁদে যাবে এমন একটি দল যে দলের কেউই বিজ্ঞানী নন...
এক সপ্তাহের জন্য এই অভিযান। তবে এখনও দিন ধার্য হয়নি। এই দলের প্রত্যেকেই নতুন বছরের দিকে অধীর আগ্রহে বসে আছেন। আর ভাবছেন, কখন উঠবেন মহাকাশযানে!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জাপানের এক কোটিপতি ইউসাকু মেজাওয়া ৮ জনের নাম প্রকাশ করেছেন। যাঁদের নিয়ে একটি দল তৈরি হবে চাঁদে যাওয়ার জন্য। যাঁরা তাঁর চন্দ্রাভিযানের সঙ্গী হবেন। পরের বছর স্পেসএক্স স্পেসশিপ এই অভিযানে নামছে। সেখানেই ইউসাকু মেজাওয়ার সঙ্গে থাকছেন এই আটজন। তাঁর সঙ্গে থাকছেন পপস্টার টিওপি, আমেরিকান ডিজে স্টিভ আওকি প্রমুখ। এক সপ্তাহের জন্য এই অভিযান। তবে এখনও দিন ধার্য হয়নি। মেজাওয়া প্রকল্পটির একটি নামও দিয়েছেন-- #dearMoon। হ্যাশট্যাগ ডিয়ারমুন। তবে এঁরা কেউ চাঁদের মাটিতে পা দেবেন না। চাঁদের কক্ষপথ ঘুরে পৃথিবীতে ফিরবেন। আমেরিকান ডিজে স্টিভ আওকি বলেছেন, তাঁর যেন আর তর সইছে না। তিনি স্রেফ ওই দিনগুলির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর বাইরেও এক অতিকায় মহাসমুদ্র! চিনে নিন প্রাচীন এই মহাসাগরটিকে...
ইউসাকু মেজাওয়া, পপস্টার টিওপি, আমেরিকান ডিজে স্টিভ আওকি ছাড়াও এই দলে রয়েছেন ক্রিয়েটিভ কোরিওগ্রাফার ইয়েমি এ.ডি, ফোটোগ্রাফার রিয়ানন্ন আদাম, ইউটিউবার টিম ডড, ফোটোগ্রাফার কারিম ইলিয়া, ফিল্মমেকার ব্রেন্ডন হল, অভিনেতা দেব ডি যোশী। ব্যাকআপ ক্রিউ হিসেবে থাকছেন, মার্কিন অলিম্পিয়ান স্নোবোর্ডার কেইটলিন ফারিংটন এবং জাপানের নৃত্যশিল্পী মিউ। না, এঁরা যে সকলেই মিলিওনেয়ার, তা নয়। বিশাল ধনী নন, আর এঁরা যে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে এসেছেন, সে তো দেখাই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুদূরের নীহারিকা! এ বিশ্বের প্রথম গ্যালাক্সির প্রথম নক্ষত্রের সন্ধান কি দিতে পারল জেমস ওয়েব?
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৫০ বছরের মধ্যে শুধু বিজ্ঞানীরাই নন, যে কেউ মহাকাশে যেতে পারবেন। অর্থের বিনিময়ে এটা সম্ভব হবে।
কিন্তু ইউসাকু মেজাওয়া কেন এঁদেরই বাছলেন?
মেজাওয়া বলেন, বিষয়টা সহজ ছিল না। লক্ষ লক্ষ আবেদন থেকে তাঁকে এটা করতে হয়। প্রাথমিক ভাবে তিনি ও আওকি প্রথমে বন্ধুত্বে আবদ্ধ হন। তাঁদের বয়স কাছাকাছি। মনের ভাবনাও একইরকম।
এঁরা এখন প্রত্যেকেই নতুন বছরের দিকে অধীর আগ্রহে বসে আছেন। মাটির এ পৃথিবীর বন্ধন ছাড়িয়ে অন্তত কিছুদিনের জন্য মহাকাশের অনন্ত শূন্যতায় নিজেকে ভাসিয়ে দেওয়ার লগ্ন কবে আসবে, এটাই এখন তাঁদের একমাত্র চিন্তা।