ট্যুইটারের পরে মেটা! কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে ফেসবুক
জুনে, মেটার প্রধান পণ্য কর্মকর্তা ক্রিস কক্স কর্মীদের ‘গুরুতর সময়ের’ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। জানা গিয়েছে এই ছাঁটাই ট্যুইটারে ব্যাপক ছাঁটাইয়ের তুলনায় মেটাকে আরও বেশি প্রভাবিত করতে পারে। জুকারবার্গ সেপ্টেম্বরে নিয়োগ স্থগিত করে এবং সতর্ক করে দেন যে অদূর ভবিষ্যতে কোম্পানির আকার কমতে পারে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, ফেসবুকের মালিক সংস্থা মেটা-র একটি বড় পরিকল্পনা রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তারা সংস্থার বহু কর্মীকে ছাঁটাই করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে বুধবারেই এই ছাঁটাই প্রকিয়া শুরু হতে পারে। সেপ্টেম্বরের শেষে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম প্যারেন্ট কোম্পানি জানায় যে তাদের ৮৭,০০০ এরও বেশি কর্মচারীর রয়েছে। কিন্তু এই ‘বড় আকারের’ ছাঁটাই কর্মীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কমিয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে এই ছাঁটাই ট্যুইটারে ব্যাপক ছাঁটাইয়ের তুলনায় মেটাকে আরও বেশি প্রভাবিত করতে পারে। ট্যুইটারের ছাঁটাই কোম্পানির ৭,৫০০ কর্মচারীর মধ্যে প্রায় অর্ধেককে প্রভাবিত করেছিল।
জুনে, মেটার প্রধান পণ্য কর্মকর্তা ক্রিস কক্স কর্মীদের ‘গুরুতর সময়ের’ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। সেই সময়ে তিনি জানান যে কর্মীদেরকে অবশ্যই ‘ধীরগতির বৃদ্ধির পরিবেশে নির্ভুলভাবে কর্মসম্পাদনা করতে হবে’। মেটার সিইও মার্ক জুকারবার্গ একই সময়ে কর্মীদের উপর চাপ বৃদ্ধি করতে শুরু করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন যে ‘সম্ভবত কোম্পানিতে এমন এক গুচ্ছ লোক রয়েছেন যাদের এখানে থাকা উচিত নয়’। জুকারবার্গ পরবর্তীতে সেপ্টেম্বরে নিয়োগ স্থগিত করে এবং সতর্ক করে দেন যে অদূর ভবিষ্যতে কোম্পানির আকার কমতে পারে।
আরও পড়ুন: Imran Khan: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন ইমরান, মঙ্গলবার মিছিল শুরু সেই ওয়াজিরাবাদেই
মেটা এই পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করলেও গত মাসে কোম্পানির উপার্জন কলের সময় জুকারবার্গের বিবৃতির দিকে সকলে নজর দিতে বলে। জুকারবার্গ বলেন, ‘২০২৩ সালে, আমরা আমাদের বিনিয়োগগুলিকে অল্প সংখ্যক উচ্চ অগ্রাধিকার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ফোকাস করতে যাচ্ছি’। তিনি আরও বলেন, ‘সুতরাং এর অর্থ হল কিছু দল অর্থপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পাবে, তবে বেশিরভাগ অন্যান্য দলে পরের বছর কোনও পরিবর্তন হবে না অথবা সেগুলি সঙ্কুচিত হবে। সামগ্রিকভাবে, আমরা ২০২৩ সালের শেষ মোটামুটি একই আকারের, অথবা বর্তমানের তুলনায় কিছুটা ছোট আকারের সংস্থা হিসাবে শেষ করব বলে মনে করছি’।
যদিও জুকারবার্গ বলেন যে ফেসবুকের আগের তুলনায় বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীরা এখনও দামি মেটাভার্সে কোম্পানির বাজি ধরার বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন। মেটার ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ক্ষেত্র গত ত্রৈমাসিকে ৩.৭ বিলিয়ন ডলার এবং এই বছরে মোট ৯.৪ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে। অন্যদিকে কোম্পানির স্টক ২০১৬ থেকে হিসাব করলে এখন তার সর্বনিম্ন মূল্যে লেনদেন করছে।