মুম্বই সন্ত্রাসের বিচার শুরু পাকিস্তানে
পাকিস্তানের সন্ত্রাসদমন আদালতে শনিবার ফের শুরু হয়েছে মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলের ভিতরে কঠোর নিরাপত্তায় চলছে শুনানি। আজকের শুনানিতে মুম্বই হামলা নিয়ে পাকিস্তানের বিচারবিভাগীয় কমিশনের তদন্ত রিপোর্ট পেশ হবে। মুম্বই হামলার তদন্তে কয়েকদিন আগেই ভারতে ঘুরে গিয়েছে পাকিস্তানের বিচারবিভাগীয় কমিশনের একটি দল।
পাকিস্তানের সন্ত্রাসদমন আদালতে শনিবার ফের শুরু হয়েছে মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলের ভিতরে কঠোর নিরাপত্তায় চলছে শুনানি। আজকের শুনানিতে মুম্বই হামলা নিয়ে পাকিস্তানের বিচারবিভাগীয় কমিশনের তদন্ত রিপোর্ট পেশ হবে। মুম্বই হামলার তদন্তে কয়েকদিন আগেই ভারতে ঘুরে গিয়েছে পাকিস্তানের বিচারবিভাগীয় কমিশনের একটি দল। আট দলীয় সেই কমিশনের রিপোর্ট পেশ না হওয়ার পর্যন্ত মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারপ্রক্রিয়া এগোবে না বলে পাক সন্ত্রাসদমন আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।
২০০৮-এর ২৬ নভেম্বর তাজ প্যালেস হোটেল, ওবেরয় ট্রাইডেন্ট, নরিম্যান হাউস, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, কামা হাসপাতাল, লিওপোল্ড কাফে-সমেত মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় আইএসআই-প্রশিক্ষিত ১০ জন লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিরা। ২৯ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত চলা এই হামলায় মোট ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়। লস্কর জঙ্গি আজমল আমির কাসভ জীবিত অবস্থায় ধরা পড়ে। নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে খতম হয় তার সঙ্গীরা। ঘটনার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে লস্কর কমান্ডার জাকিউর রহমান লাকভি-সহ ৭ লস্কর-এ-তৈবা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে বিচার শুরু হয় পাকিস্তানে। তবে অন্তর্বর্তী রিপোর্টের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ২৬/১১ কাণ্ডের অন্যতম প্রধান চক্রী, জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান তথা লস্করের প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ মহম্মদ সইদকে ক্লিনচিট দিয়েছে গিলানি সরকার। ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লির তরফে ইসলামাবাদের এই পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করা হয়েছে।