ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেপালে ত্রাণে 'বিফ মাসালা' পাঠানোর অভিযোগ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে

ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে নেপালের লক্ষ লক্ষ মানুষ এখন ক্ষিদের জ্বালায় ছটফট করছে। নেই পর্যাপ্ত খাবারের যোগান। সারা বিশ্ব থেকে আসছে সাহায্য। কিন্তু চাহিদার তুলনায় তা নেহাতই তুচ্ছ। পাকিস্তান থেকেও পাঠানো হয়েছে খাবারের প্যাকেট। কিন্তু সেই প্যাকেট ছুঁয়েও দেখা হচ্ছে না। কিন্তু কেন?

Updated By: Apr 30, 2015, 06:30 PM IST
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেপালে ত্রাণে 'বিফ মাসালা' পাঠানোর অভিযোগ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে

কাঠমান্ডু: ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে নেপালের লক্ষ লক্ষ মানুষ এখন ক্ষিদের জ্বালায় ছটফট করছে। নেই পর্যাপ্ত খাবারের যোগান। সারা বিশ্ব থেকে আসছে সাহায্য। কিন্তু চাহিদার তুলনায় তা নেহাতই তুচ্ছ। পাকিস্তান থেকেও পাঠানো হয়েছে খাবারের প্যাকেট। কিন্তু সেই প্যাকেট ছুঁয়েও দেখা হচ্ছে না। কিন্তু কেন?

নেপালের অধিকাংশ মানুষই হিন্দু ধর্মাম্বলম্বী। অভিযোগ, পাকিস্তান থেকে যে রেডি টু ইট খাবারের প্যাকেট পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে নাকি রয়েছে 'বিফ মাসালার' প্যাকেটও। ফলে সেই খাবার নেহাতই নষ্ট হচ্ছে।

নেপালে গরু অত্যন্ত পবিত্র। গোহত্যা করে ১২ বছর অবধি জেল হতে পারে। ১৯৯০ সালের আগে পর্যন্ত গোহত্যার শাস্তি ছিল মৃত্যদণ্ড।

অনেকের দাবি নেপালের এই সাঙ্ঘাতিক সময়ে পাকিস্তানের এই ধরণের আচরণ আসলে চরম অসংবেদনশীলতার পরিচয়। অনেকে এর পিছনে ষড়যন্ত্রের গন্ধও পাচ্ছেন।

ডেলি মেল-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতীয় একদম ডাক্তার প্রথমে পাকিস্তান থেকে পাঠানো খাবারের মধ্যে ' বিফ মাসালার' সন্ধান পান। তাঁরা কর্তৃপক্ষকে সে বিষয়ে সচেতন করেন।

রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘটনা নিয়ে নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গেছে।

''প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরলাকে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। এর সত্যতা যাচাই করার জন্য ইতিমধ্যেই অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। এই ঘটনা সত্যি হলে আমরা কূটনৈতিক স্তরে পাকিস্তানের কাছে প্রশ্ন তুলব। যেহেতু ভারত থেকে আমরা সবথেকে বেশি সাহায্য পাচ্ছি, সে দেশকেও এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সরবারহ করব।'' জানিয়েছেন নেপালের এক আধিকারিক।

ইতিমধ্যে, 'বিফ মাসালা'-র প্যাকেট পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছে পাক সরকার।

পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী জানিয়েছেন তাদের পাঠানো খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে কোথাও গো মাংসও নেই। তিনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এভাবে পাকিস্তাঙ্কে 'হেনস্থা' না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর আরএসএস কোমর বেঁধে পাকিস্তান বিরোধীতায় নেমে পড়েছে। সূত্রে খবর, সঙ্ঘ পরিবার এই ঘটনাকে অত্যন্ত অসংবেদশীল আখ্যা দিয়েছে। যোগগুরু রামদেবও জানিয়েছেন এর থেকে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়েছে।

২৫ এপ্রিলের বিধ্বংসী ভূমিকম্প ও পর পর আফতার শকের জেরে নেপালে মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী আহত অন্তত ১০ হাজার।

 

 

.