নির্বাচনী প্রচারে বিস্ফোরণে খতম ভারত বিদ্বেষী পাক নেতা
বালুচিস্তান আওয়ামি পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন প্রবল ভারতবিরোধী সিরাজ রাইসানি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের জাতীয় পতাকার উপরে দাঁড়িয়ে প্রতিবেশী দেশের অবমাননা করেছিলেন একসময়। বালুচিস্তান আওয়ামি পার্টির সেই 'দেশভক্ত' সিরাজ রাইসানির মৃত্যু হল জঙ্গি হামলায়। টুইটারে তাঁর ছবি শেয়ার করে বিদ্বেষ ছড়ালেন পাক সেনার মুখপাত্র আসিফ গফুর।
এবার সাধারণ নির্বাচনে বালুচিস্তান আওয়ামি পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন প্রবল ভারতবিরোধী সিরাজ রাইসানি। শুক্রবার তাঁর সভাতেই ঘটে বিস্ফোরণ। মৃত্যু হয় রাইসানির। সেই রাইসানির বিতর্কিত ছবি দিয়ে টুইট করেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর আসিফ গফুর। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, জুতো পরে ভারতের তেরঙার উপরে দাঁড়িয়ে রাইসানি। গফুর লিখেছেন, আমাদের জাতীয় নায়ককে স্যালুট। একজন সত্যিকারের পাকিস্তানি যাঁকে দেশের শত্রুরা ভয় পেত।
Salute to our national hero #SirajRaisani. A truly proud Pakistani who made enemies of Pakistan afraid. Your passion, mission & message shall be carried forward. We owe you, and we shall not let your sacrifice go waste. Welcome to the great family of ‘Martyred sons of Pakistan’. pic.twitter.com/SIvs8j6MGp
— Asif Ghafoor (@peaceforchange) July 13, 2018
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের এহেন ন্যক্কারজনক টুইটের পর গর্জে উঠেছেন ভারতীয়রা। টুইটারেই প্রতিবাদ করেছেন তাঁরা। তাঁদের সকলেরই এক সুর, অন্য দেশের জাতীয় পতাকাকে অপমান করে নিজেদের আসল চরিত্র প্রকাশ করে পাক সেনা।
Paki faujis like @peaceforchange are orgasming over #SirajRaisani standing on an Indian flag...this after he was ripped apart along with 128 others in YET ANOTHER BLAST.
So even as terrorists are eating up the terror state itself, scoundrels are taking refuge in Patriotism.#Wah pic.twitter.com/wB8FJSPSoJ— Akash Banerjee (@akashbanerjee) July 14, 2018
the 200 killed and their families are not interested in this, you need to revisit your policy and answer the innocent people who lost precious lives. https://t.co/fTs16jBmzM
— salma jafar (@Chiltan) July 14, 2018
পাকিস্তানে আগামী ২৫ জুলাই সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। তার আগে পরপর তিনটি বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে দেড়শো জনের। আহত হয়েছেন বহু। পাক সেনা ও সরকার দাবি করেছিল, তারা দেশ থেকে সমস্ত জঙ্গিদের নির্মূল করেছে। কিন্তু পরপর বিস্ফোরণের ঘটনায় তাদের দাবি ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। নির্বাচন কতখানি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হবে, তাও নিয়েও সন্দিহান পাক জনতা। এই অবস্থায় জঙ্গি হামলার মোকাবিলা না করে বিতর্কিত ছবি দিয়ে নিজেদের দায় পাক সেনা এড়াতে চাইছে বলে মনে করেছেন অনেকে।
আরও পড়ুন- পরিবর্তন দেখতে অমর্ত্যকে দেশে সময় কাটানোর পরামর্শ নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যানের