ইরান আক্রমণ করলে ওবামার পাশে নেই ইসলামাবাদ
পাক-মার্কিন সম্পর্কের চাপানউতর ফের স্পষ্ট হল পাকিস্তান, ইরান ও আফগানিস্তানের তৃতীয় ত্রিপাক্ষিক সম্মেলনে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই ইরান আক্রমণের ইঙ্গিত দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার ত্রিপাক্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ইরান আক্রমণ করলে ইসলামাবাদের সাহায্য পাবে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
পাক-মার্কিন সম্পর্কের চাপানউতর ফের স্পষ্ট হল পাকিস্তান, ইরান ও আফগানিস্তানের তৃতীয় ত্রিপাক্ষিক সম্মেলনে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই ইরান আক্রমণের ইঙ্গিত দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার ত্রিপাক্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ইরান আক্রমণ করলে ইসলামাবাদের সাহায্য পাবে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জারদারি বলেন, ``দুটি দেশের পরস্পরকে প্রয়োজন। তাই কোনও বিদেশি চাপই এই সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না।``
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও, গ্যাস পাইপ লাইন নিয়েও ইসলামাবাদকে পাশে পেয়েছে তেহরান। ইরানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বালুচিস্তানের বিদ্যুত্ কেন্দ্র নিয়ে আশাপ্রকাশ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। গত বছর নভেম্বরে মার্কিন ড্রোন হামলায় ২৪ জন পাক সেনার মৃত্যুর পর থেকেই পাক-মার্কিন সম্পর্কের চাপানউতর শুরু হয়।
ড্রোন হামলার তীব্র বিরোধিতা করে আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর রসদ পাঠানোর জন্য পাক-আফগান সীমান্ত বন্ধ করে দেয় ইসলামাবাদ। আফগানিস্তান নিয়ে ভবিষ্যত রূপরেখা ঠিক করতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন বয়কট করারও সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। দুদেশের সম্পর্কের চাপানউতরে অনুঘটকের কাজ করে সম্প্রতি ড্রোন হামলা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্বীকারোক্তি।
অপরদিকে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইতিমধ্যেই ইজরায়েল ও পশ্চিমি দেশগুলির বিরাগভাজন হয়েছে তেহরান। ইরানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমি দেশগুলির বক্তব্য, গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে তেহরান। যদিও তেহরানের দাবি, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তির উদ্দেশ্যেই। তবে ইরান নিয়ে পাকিস্তানের প্রকাশ্য মার্কিন বিরোধিতা যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রশ্ন উঠছে পাক-মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যত্ নিয়েও।