Highest Number of Executions: মাত্র ১ বছরে প্রায় দেড়শো মৃত্যুদণ্ড, শুধু মার্চেই ৮১! কোথায় ঘটল এমন কাণ্ড...
Highest Number of Executions: ২০১৫ সালে সলমন সৌদি আরবের সুলতান হওয়ার পর ওই বছরই এই হার বেড়ে হয়েছিল ১২৯.৫ শতাংশ! যুবরাজের আমলেও ক্রমশ বেড়েছেই তা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের আমলে সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডের হার অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে। ২০২২ সালে সে দেশে ১৪৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মার্চ মাসেই ৮১ জনের!
সুলতান সলমন বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এবং যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের জমানায় সৌদি আরবে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে মৃত্যুদণ্ড। দু’টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের রিপোর্ট বলছে, পূর্বতন সুলতান আবদুল্লা বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের তুলনায় মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে এ দেশে। পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ঘটনাও বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।
আরও পড়ুন: Salman Rushdie: প্রকাশিত হবে রুশদির উপন্যাস! জেনে নিন কেমন আছেন লেখক, কী তাঁর বইয়ের নাম...
২০১৫ সালের আবদুল্লার প্রয়াণের পর তাঁর বৈমাত্রেয় ভাই সলমন বিন আবদুল আজিজ সুলতান হন। মানবাধিকার সংগঠন ‘রিপ্রিভ’ এবং ‘দ্য ইউরোপিয়ান সৌদি অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটস’-এর রিপোর্ট জানাচ্ছে ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সময়পর্বে সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার গড় হার ছিল ৭০.৮ শতাংশ। তবে ২০১৫ সালে, সলমন সৌদি আরবের সুলতান হওয়ার পরে ওই বছর এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৯.৫ শতাংশ!
আরও পড়ুন: Peshawar Blast: সন্ত্রাসের বীজ বুনেছে পাকিস্তানই! জঙ্গিহামলা নিয়ে আক্রমণাত্মক স্বয়ং পাকমন্ত্রীই...
সাম্প্রতিক একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে প্রশাসনিক কাজে যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের সক্রিয়তা বাড়ার পরে সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডের হার অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। ২০২২ সালে সে দেশের ১৪৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র মার্চ মাসেই ৮১ জনের! তবে ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ডের গড় সংখ্যা ছিল বছরে ১২৯ জন! পর্র বছরে, ২০২২ সালেই সেটা এক লাফে অনেকটা বেড়ে যায়।
এঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জন রাজনৈতিক অভিযুক্তও রয়েছেন। সমালোচকদের ‘খুন’ করার অভিযোগও রয়েছে যুবরাজ সলমনের বিরুদ্ধে।
কিন্তু কেন এভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে?
সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, সৌদি রাজনীতিতে বিরোধী শক্তি বলে কিছু নেই। ফলে যুবরাজের কাজের সমালোচনা করার কেউ নেই। পাশাপাশি, বিন্দুমাত্র ক্ষোভও নাকি যুবরাজ বরদাস্ত করেন না, সঙ্গে সঙ্গে কণ্ঠরোধ করতে চান তাঁর সমালোচকের। সমালোচকের ভাষায় 'জিরো টলারেন্স ফর ডিসেন্ট'। এই দুই কারণে সেখানে মৃত্য়ুদণ্ড দেওয়ার হার এত বেড়েছে।