Bangladesh: দিল্লিতে বসে জঙ্গিদের উস্কানি দিচ্ছেন উনি, দেশে ডামাডোলের দায় হাসিনার উপরেই চাপালেন ইউনূস!
Bangladesh: শেখ হাসিনা দেসে ছেড়েছেন ৬ মাস আগে। তার পরও কেন নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারছে না বাংলাদেশে, উঠছে প্রশ্ন
![Bangladesh: দিল্লিতে বসে জঙ্গিদের উস্কানি দিচ্ছেন উনি, দেশে ডামাডোলের দায় হাসিনার উপরেই চাপালেন ইউনূস! Bangladesh: দিল্লিতে বসে জঙ্গিদের উস্কানি দিচ্ছেন উনি, দেশে ডামাডোলের দায় হাসিনার উপরেই চাপালেন ইউনূস!](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2025/02/07/519959-2.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত নয় বাংলাদেশ। গত ৬ মাস হয়ে গেল দেশ ছেড়েছেন হাসিনা। তার পর এতগুলো মাস গড়িয়ে গেলেও সুস্থিতি ফেরেনি বাংলাদেশে। এতদিন দেশের সংখ্যালঘুদের উপরে হামলার পর এবার শুরু হয়েছে শেখ মুজিবের শেষ চিহ্নটুকুও মুছে ফেলার কাজ। শেখ মুজিবের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে, সেখানে লুটতরাজ চলছে। হাসিনাদের পুরনো বাড়িতেও হামলা করা হয়েছে। এরকম এক পরিস্থিতিতে মহম্মদ ইউনূস বলছেন, সীমান্তের ওপারে বসে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করছেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন-শরীর নেই কোনও সুতো! পুলিসের গাড়িতে উদ্দাম ইরানি যুবতী...
বাংলাদেশের তথ্যবধায়ক সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস সম্প্রতি বলেন, শেখ হাসিনা দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েও তার সন্ত্রাসীদের সক্রিয় করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ওই কর্মকাণ্ড দেশকে তার নিপীড়নের যুগ থেকে পুনরুদ্ধার হতে বাধা দিচ্ছে। অবিলম্বে সম্পূর্ণ আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে হবে। কোনো অজুহাতে শেখ হাসিনার পরিবার ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ দলের রাজনীতিবিদদের সম্পত্তির বিরুদ্ধে বা কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে আর কোনো হামলা করা যাবে না। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সরকারি এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান।
ওই বিবৃতিতে বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যারা আওয়ামী লীগ নেতাদের সম্পত্তির ওপর হামলা চালিয়েছে তাতে তাদের ক্ষোভ বোঝা যায়। কারণ তারা এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন শেখ হাসিনার শাসনামলে বছরের পর বছর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সরকার বুঝতে পারে যে, শেখ হাসিনা দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েও তার সন্ত্রাসীদের সক্রিয় করার চেষ্টা করছেন। তবে এই বাস্তবতা বোঝার পরও, সরকার সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যে, আমাদের অবশ্যই আইন মেনে চলতে হবে। বিশ্বকে দেখাতে হবে যে আমরা আইনের শাসনকে সম্মান করি। আইনের শাসন মেনে চলাই আমাদের নতুন বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য, যা পুরোনো ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে আমাদের আলাদা করেছে। আমাদের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ভিত্তিকে দুর্বল করা যাবে না। আইনের প্রতি কোনো অবজ্ঞা নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তিকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে।
তিনি বলেন, যারা শেখ হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে জুলাই ও আগস্ট মাসে রুখে দাঁড়িয়েছিল, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নিজেদের ও বিশ্বের বন্ধুদের সামনে প্রমাণ করতে হবে যে, আমরা ন্যায়বিচারের পক্ষে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পরস্পরের নাগরিক ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আইন মেনে চলার বিষয়ে অবিচল। একটি ন্যায়সঙ্গত নতুন বাংলাদেশের পক্ষের সংগ্রামীদের এমন কিছু করা উচিত নয়, যা বর্তমান প্রতিষ্ঠানগুলোর আচরণকে আগের স্বৈরাচারী শাসনের সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ তৈরি করে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)