The Coldest City on Earth: এখানে তাপমাত্রা এখন মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস! কী করে বেঁচে থাকবেন এলাকাবাসী...
The Coldest City on Earth: সাইবেরিয়ার পার্মাফ্রস্ট। এই অঞ্চলে যে শহর অবস্থিত তার অবস্থা যে শীতে সঙ্গিন হবেই, তা স্পষ্টই। তেমনই হয়েছে ইয়াকুৎস্ক শহরের অবস্থা। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম শীতলতম স্থান রাশিয়ার পূর্ব সাইবেরিয়ার এই শহর।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাইবেরিয়ার পার্মাফ্রস্ট। এই অঞ্চলে যে শহর অবস্থিত তার অবস্থা যে শীতে সঙ্গিন হবেই, তা তো স্পষ্টই। তেমনই হয়েছে ইয়াকুৎস্ক শহরের অবস্থা। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম শীতলতম স্থান রাশিয়ার পূর্ব সাইবেরিয়ার এই ইয়াকুৎস্ক শহর। শহরটির তাপমাত্রা মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছে! বরাবরই শহরটি জানুয়ারি মাসেই সবচেয়ে শীতল হয়ে ওঠে। সেই হিসেবে জানুয়ারিই এই শহরের শীতলতম মাস। আর বিশ্বের অন্যতম শীতলতম স্থান হওয়ায় শহরের বাসিন্দারা এমনিতেই হিমাঙ্কের নীচের তাপমাত্রায় বসবাস করতে অভ্যস্ত। তবে এখন পরিস্থিতি খুবই সাংঘাতিক চলছে। শহরের তাপমাত্রা মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা প্রাণপণে এই মারণ ঠান্ডার সঙ্গে লড়ছেন। নিজেদের উষ্ণ রাখতে বাড়তি ব্যবস্থা নিচ্ছেন। অধিকাংশ এলাকাবাসীর পরনে বহু গরমের পোশাক। কেউ একই সঙ্গে জড়িয়ে নিয়েছেন দুটি চাদর, পরেছেন মাল্টিলেয়ার্ড হাতমোজা, টুপি এবং হুড।
আরও পড়ুন: Dawood Ibrahim Married again: ডন দাউদের দ্বিতীয় বিয়ে! পাত্রী কে? জানালেন গ্যাংস্টারের কাছের লোক
কিন্তু এই ভয়ংকর ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করার কি কোনও বিশেষ পদ্ধতি আছে?
না, লড়াইয়ের কোনও অবকাশই নেই। দারুণরকম ভাবে গরম পোশাক পরিহিত ইয়াকুৎস্ক শহরের এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে বলেন-- এই ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করতে পারা কঠিন। তাই হয় মানিয়ে নিন, সেই অনুযায়ী পোশাক পরুন, নয়তো কষ্ট ভোগ করুন। দ্বিতীয় কোনও রাস্তা নেই!
শহরের এক বাজারে হিমায়িত মাছ বিক্রি করছিলেন শহরটির আরেক বাসিন্দা। তিনি বলছেন, এমন ঠান্ডার প্রকোপ থেকে নিজেকে রক্ষার মূল কৌশল হল মাল্টিলেয়ার্ড পোশাক পরা।
ইয়াকুৎস্কর ওই মাছবিক্রেতা বেশ মজা করেই বলেন, এখন শুধু উষ্ণ পোশাক পরুন, বাঁধাকপির পাতার মতো স্তরে স্তরে পোশাক পরুন!
প্রসঙ্গত, বছরখানেক আগে, ২০১৮ সালেও শহরটিতে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়েছিল। তখন চোখ খুলতেও সমস্যা হচ্ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এখানে শীতে আসলে গড় তাপমাত্রা থাকে মোটামুটি মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাই বলেন, এখানে থাকতে থাকতে এমন হয় যে, ব্রেন শীত অনুভব করতেই দেয় না। কেননা, শরীর ঠান্ডাটার সঙ্গে মানিয়ে নেয়। ঠান্ডা পড়লেই মস্তিষ্কের স্নায়ু এই শীতের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার বার্তা পাঠায় মাথায়।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)