Afghanistan: খোলার কয়েক ঘণ্টা পরেই বন্ধ হয়ে গেল স্কুল, মেয়েদের শিক্ষা অধরাই আফগানিস্তানে
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রকের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে ইসলামিক আইন এবং আফগান সংস্কৃতি অনুসারে একটি পরিকল্পনা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত মেয়েদের জন্য স্কুলগুলি বন্ধ থাকবে।
![Afghanistan: খোলার কয়েক ঘণ্টা পরেই বন্ধ হয়ে গেল স্কুল, মেয়েদের শিক্ষা অধরাই আফগানিস্তানে Afghanistan: খোলার কয়েক ঘণ্টা পরেই বন্ধ হয়ে গেল স্কুল, মেয়েদের শিক্ষা অধরাই আফগানিস্তানে](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/03/24/368981-school-reopen.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবার তালিবান (Taliban) তার আগের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিয়েছে। যে উচ্চ বিদ্যালয়গুলি মহিলাদের জন্য খোলা হয়েছিল, সেগুলিকে খলার কিছুক্ষনের মধ্যেই আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে যে ইসলামিক আইন অনুসারে একটি পরিকল্পনা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুলগুলি।
কাবুলের (Kabul) তিনটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা জানিয়েছিলেন যে মহিলা শিক্ষার্থীরা বুধবার সকালে ক্যাম্পাসে ফীরে আসে এবং তাদের মধ্যে উত্তেজনা ছিল লক্ষণীয়। কিছু স্কুল খলার কিছুক্ষনের মধ্যেই তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারা জানিয়েছেন, অনেক শিক্ষার্থী কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে যায়।
এক ছাত্রী জানিয়েছেন, "আমরা সবাই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম, এবং প্রিন্সিপ্যাল যখন আমাদের বলেছিলেন, তিনিও কাঁদছিলেন।" যদিও, এটিই প্রথমবার নয়। তালিবানরা এর আগেও মেয়েদের জন্য শিক্ষা নিষিদ্ধ করেছে। শেষবার যখন তারা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে (Afghanistan) শাসন করেছিল, সেই সময়েও তালিবানরা নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ করে।
গত সপ্তাহে, শিক্ষা মন্ত্রক ঘোষণা করেছিল যে উচ্চ বিদ্যালয়ের মেয়েদের জন্য শিক্ষার উপর কয়েক মাস বিধিনিষেধের পরে বুধবার সারা দেশে মহিলা সহ সমস্ত শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল খুলবে। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রক একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যাতে সমস্ত শিক্ষার্থী ক্লাসে ফিরে আসার জন্য অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে চান পুতিন! রাশিয়াকে সতর্ক করল NATO
যদিও, বুধবার শিক্ষা মন্ত্রকের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে ইসলামিক আইন এবং আফগান সংস্কৃতি অনুসারে একটি পরিকল্পনা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত মেয়েদের জন্য স্কুলগুলি বন্ধ থাকবে।
উল্লেখযোগ্য যে তালিবানরা আফগানিস্তানকে নিজেদের ইসলামী আইনের ব্যাখ্যা অনুসারে পরিচালনা করতে চাইছে। একই সঙ্গে তারা বহু বিলিয়ন ডলারের ত্রাণ ব্যবহার করছে যা সেই দেশের ব্যাপক দারিদ্র্য এবং ক্ষুধা নিবারণের জন্য প্রয়োজন।