Reduce Working Hours: কমছে ওয়ার্কিং আওয়ার্স! এবার থেকে সপ্তাহে কাজ করতে হবে মাত্র ৪০ ঘণ্টা
Reduce Working Hours: কর্মীদের কাজের জন্য নির্ধারিত মোট সাপ্তাহিক ঘণ্টা কমিয়ে ৪০ করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট এই মর্মে ইঙ্গিত দিয়েছেন। এবং বিষয়টি ফেলে না রেখে দ্রুত সেরে ফেলতে চাইছেন তিনি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৪৫ নয়, ৪০! মানে, ৪০ ঘণ্টা। এটাই কোনো কর্মীর সাপ্তাহিক কর্মসময়। যাকে ডিউটি আওয়ার্স বলে থাকি আমরা। নিতান্তই সুখবর সন্দেহ নেই। কে আর হৃদয় খুঁড়ে. থুড়ি, শরীর জুড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে! হাতে একটু বেশি সময় পেলে ক্ষতি কী! একটু বেশি বিশ্রাম পেলে মন্দ কী! হ্যাঁ, এটাই ঘটতে চলেছে চিলেতে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলে এবার তাদের কর্মীদের কাজের জন্য নির্ধারিত মোট সাপ্তাহিক ঘণ্টা কমিয়ে ৪৫ থেকে ৪০ করে দিচ্ছে। চিলে প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বরিক মঙ্গলবারই এই মর্মে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি আসলে ক্ষমতায় আসার আগে ভোটের প্রচারে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন সেটা রক্ষা করাই তাঁর লক্ষ্য। তিনি অবশ্য স্রেফ মুখেই বলেননি। কেননা মুখে বলার পর্ব তো একহিসেবে শেষ হয়ে গিয়েছে। তিনি এবার এটা আইনত সিদ্ধ করতে চাইছেন। তাই এই মর্মে সে দেশে আনা হয়েছে বিলও।
এই নিয়ম অবশ্য চিলেতে একেবারে নতুন কিছু নয়। মোটামুটি ২০১৭ সাল থেকে সেখানে এই নিয়মের সঙ্গে পরিচিত দেশবাসী। এ নিয়ে সেখানে বহু মত, মতান্তর তর্ক-বিতর্ক ঘটেছে। কিন্তু বিষয়টি আইনত সিদ্ধ হয়নি। এবার সেটাই হতে চলেছে। প্রেসিডেন্ট বিষয়টি নিয়ে একটু তাড়াই লাগিয়েছেন। তিনি আইন প্রণেতাদের দ্রুত বিলটির বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন। তবে আইনপ্রণেতারা বিলটির সবদিক খতিয়ে দেখছেন। তাঁরা দ্বিধায় আছেন কিছু কিছু বিশেষ সেক্টরে বা ক্ষেত্রেও কি এই কর্মসপ্তাহ চালু হবে? যেমন, গণপরিবণ বা ডোমেস্টিক হেল্পদের ক্ষেত্রেও কি এই ৪০-সপ্তাহের নিয়ম জারি হবে?
আরও পড়ুন: Bangladesh Office Timing: বড় সিদ্ধান্ত, বুধবার থেকেই দেশের সব সরকারি অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টে
কোভিড-পরবর্তী সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো চিলেও অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগেছে, ভুগছে। এই পরিস্থিতিতে বড় সংস্থাগুলি তাদের বিপন্নতা অনেকটা কাটিয়ে উঠলেও ছোট বা মাঝারি কোম্পানিগুলি এখনও তেমন স্বস্তিতে নেই। এই পরিস্থিতিতে সাপ্তাহিক কর্ম-সময় ৪৫ ঘণ্টা থেকে ৪০ ঘণ্টায় নেমে এলে, কমে-আসা-সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবই কমবে, যেমন উৎপাদন ইত্যাদি। আর সেই অবস্থায় কি নিজেদের ভারাক্রান্ত অবস্থা সামাল দিতে পারবে তারা?
কিন্তু চিলের প্রেসিডেন্ট এত কিছু শুনতে নারাজ, তিনি বলে দিচ্ছেন, তিনি সব দিক থেকেই এক 'নতুন চিলে' গড়ে তুলতে চান। আর এটা তার একটা সামান্য ধাপ মাত্র। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশ জুড়ে এটা চালু করাই তিনি মনস্থ করছেন। অনর্থক বিলম্ব চান না।