Sri Lanka: এক পেট খিদে নিয়েই রাতে ঘুমোতে যেতে বাধ্য হচ্ছে শিশুরা...
নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটকে কেন্দ্র করে প্রচণ্ড বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। পদত্যাগও করেন তিনি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শ্রীলঙ্কায় বহুদিন ধরেই নানা ধরনের সংকট চলছে। রাজনৈতিক সংকট, অর্থনৈতিক সংকট। আর শ্রীলঙ্কায় এই অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশটির শিশুদের অবস্থা খুবই খারাপ। তাদের রাতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যেতে হচ্ছে। আগামী দিনগুলিতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলিতেও একই ধরনের খাদ্যের ঘাটতি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা। শুক্রবার রাষ্ট্রসঙ্ঘ এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। নজিরবিহীন এই অর্থনৈতিক সংকটে বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কা। কেন এরকম হল? জানা গিয়েছিল, শ্রীলঙ্কায় আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেই। এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৫১০০ কোটি ডলার। বর্তমানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে তাদের অর্থনৈতিক পুনর্গঠন সহায়তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রেরও ঘাটতিতে আছে সেখানে।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কোনও দিনই থামবে না...
রাষ্ট্রসঙেঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা 'ইউনিসেফ'-এর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক জর্জ লারিয়া আদজেই বলেছেন, দরিদ্র পরিবারগুলিকে নিদারুণ অর্থনৈতিক সংকটের পরিণাম ভোগ করতে হচ্ছে। রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য কিনতে পারছে না তারা। এই অবস্থায় দুবেলার খাবার জোগাড় করাও তাদের পক্ষে অসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ওবেলার খাবার কোথা থেকে আসবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে ক্ষুধার্ত অবস্থাতেই ঘুমাতে যাচ্ছে শিশুরা। ইউক্রেনে রুশ অভিযানকে কেন্দ্র করে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়ছে শ্রীলঙ্কার প্রতিবেশী দেশগুলির অর্থনীতিতেও। তাঁর আশঙ্কা, দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলিতেও পুষ্টিজনিত সংকট দেখা দিতে পারে।
২০২১ সালে শ্রীলঙ্কায় সরকারিভাবে প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছিল, শ্রীলঙ্কায় ৫ লাখ ৭০ হাজার প্রাক্-স্কুলের শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ২৭ হাজারই অপুষ্টিতে ভুগছে।