World Day for Audiovisual Heritage 2022: দৃশ্যে ধ্বনিতে, গানে ও ছবিতে ধরে রাখা ঐতিহ্যের উদযাপনের দিন...
World Day for Audiovisual Heritage 2022: সাউন্ড, ফিল্ম, রেডিয়ো, টেলিভিশনের বিপুল জগৎ। সঙ্গে থাকে সোশিয়ো-কালচার গুরুত্ব রয়েছে এমন যে কোনও অডিয়ো বা ভিডিয়ো কনটেন্ট। এমন একটি দিন পালিত হয় সমাজ ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে ধরে রাখার দিকে লক্ষ্য রেখে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দৃশ্যে ধ্বনিতে, গানে ও ছবিতে ধরে রাখা ঐতিহ্যের উদযৈাপন। 'ওয়ার্ল্ড ডে ফর অডিওভিসুয়াল হেরিটেজ' দিনটি প্রতিবছর ২৭ অক্টোবর পালিত হয়। দিনটি যেন একটি বড় ছাতার মতো-- যার মধ্যে একই সঙ্গে পড়ে সাউন্ড, ফিল্ম, রেডিয়ো, টেলিভিশনের বিপুল জগৎ; সঙ্গে থাকে সোশিয়ো-কালচার গুরুত্ব রয়েছে এমন যে কোনও অডিয়ো বা ভিডিয়ো কনটেন্ট। এমন একটি দিন পালিত হয় সমাজ ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে ধরে রাখার দিকে লক্ষ্য রেখেই। প্রতি বছরই এ দিনটির একটি থিম থাকে। দিনটির এ বছরের থিম হল-- 'এনলিস্টিং ডকুমেন্টারি হেরিটেজ টু প্রোমোট ইনক্লুসিভ, জাস্ট অ্যান্ড পিসফুল সোসাইটিজ'।
আরও পড়ুন: Nirmalendu Goon: গ্যাস-সংযোগ না পেয়ে একুশের পদক বিক্রি করে দিতে চেয়েছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত এই কবি...
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাঙলির ইতিহাস নেই বলে দুঃখ করেছিলেন। তিনি ইতিহাস, তার লিপিবদ্ধ নথি, তথ্য, সাল-তামামির অপরিসীম গুরুত্বের কথা অত বছর আগেই উপলব্ধি করেছিলেন। মূলত বঙ্কিমের হা-হুতাশের জেরেই তাঁর পরবর্তী বাঙালি সমাজ বাঙালি লেখক-বুদ্ধিজীবীর দল ইতিহাস-সচেতন হয়ে উঠছিলেন বললে খুব ভুল হয় না। এবং সেই সচেতনতাটা ক্রমশ সব ক্ষেত্রেই ছড়িয়ে যায়। শুধু বিদ্যাচর্চা নয়, তার মধ্যে পড়ে যায় সমাজের সব এককগুলিই। আরও অনেক অনেক পরের যুগে প্রথমে পাশ্চাত্যে, পরে প্রাচ্যেও অডিয়ো-ভিজুয়ালের জগৎও ক্রমশ তার কলেবর বাড়াতে থাকে। পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে তার সামাজিক গুরুত্বও। ফলে তার সংরক্ষণের বিষয়টিও মাথায় আসে। এর জন্য উন্নত পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়। সিস্টেম তৈরি হয়। এই ভাবে বহু বছর ধরে অডিয়ো-ভিজুয়াল সংক্রান্ত কাজকর্মের আর্কাইভ তৈরি হয়ে তা যে কোনও দেশের যে কোনও জাতির ইতিহাসের একটা সমান্তরাল খনি তৈরি করে দেয়। যা নিজেদের চিনতে সাহায্য করে। সেই ভাবনা বা সেই পদ্ধতিরই ফসল এমন একটি দিন ভাবনা বা তার উদযাপন।
এই বিষয়টি বহুদিন আগেই ভেবেছে ইউনেসকো। ১৯৮০ সালের অক্টোবরে তাদের সাধারণ সভায় এরকম একটি দিন পালনের ভাবনা প্রথম ভাবা হয়েছিল। রাষ্ট্রসংঘের যে অ্যাজেন্ডা '২০৩০' হল 'সাসটেইনেবেল ডেভলপমেন্ট'। দিনটি সেই প্রকল্পের সঙ্গেও জুড়ে যায়।