একবছরে পা দিল সিবচু কাণ্ড, এখনও তদন্ত শেষ হয়নি
একের পর এক বেশ কয়েকটি মামলায় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে সিআইডি। দ্রুত তদন্ত করা, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার্জশিট দেওয়ার কাজ করেছে রাজ্য গোয়েন্দা পুলিস। যদিও এরমধ্যেই রয়েছে অন্য উদাহারণ। নতুন সরকার আসার পর যে মামলাটির তদন্তভার প্রথম সিআইডি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল, আজ সেই ঘটনার একবছর। যদিও তদন্তের কাজ শেষ হয়নি এখনও। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল ডুয়ার্স।
একের পর এক বেশ কয়েকটি মামলায় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে সিআইডি। দ্রুত তদন্ত করা, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চার্জশিট দেওয়ার কাজ করেছে রাজ্য গোয়েন্দা পুলিস। যদিও এরমধ্যেই রয়েছে অন্য উদাহারণ। নতুন সরকার আসার পর যে মামলাটির তদন্তভার প্রথম সিআইডি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল, আজ সেই ঘটনার একবছর। যদিও তদন্তের কাজ শেষ হয়নি এখনও। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল ডুয়ার্স।
দাবি ছিল তরাই ও ডুয়ার্সের বেশকিছু মৌজাকে পার্বত্য এলাকার অন্তর্ভুক্ত করে পৃথক রাজ্য করতে হবে। কুমানি থেকে খুনিয়ার দিকে মিছিল এগোতে থাকে বিমল গুরুং-এর নেতৃত্বে। সিবচুর কাছে ১৪৪ ধারা ভেঙে মোর্চার সদস্যরা এগোতেই পুলিস বাধা দিয়েছিল। বেঁধে যায় সংঘর্ষ। পুলিসের গুলিতে নিহত হন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ৩ সদস্য। তাঁরা হলেন বিমলা রাই, ভিকি লামা এবং নীতা খাওয়াস। উল্টোদিকে এক মহিলাপুলিসকর্মী গুরুতর আহত হন। সবমিলিয়ে আহত পুলিসকর্মীর সংখ্যা ছিল ৮।
জলপাইগুড়ির ডিভিশনার কমিশনার নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কিন্তু কাজ এগোয়নি। রাজ্যে নতুন সরকার এসে প্রথম এই মামলাটিরই তদন্তভার তুলে দেয় সিআইডি-র হাতে। সিআইডি-র একজন স্পেশাল সুপারিন্টন্ডেন্ট এবং এডিজি দুদফায় ওই এলাকায় যান তদন্তের কাজে। মোর্চার তরফে বেশকিছু তথ্যপ্রমান গোয়েন্দাকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়, বয়ান দেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
পুলিস এই ঘটনায় বিমল গুরুংসহ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার শীর্ষ বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল। আইন ভাঙা, পুলিসকে আক্রমণ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, প্রভৃতি ধারায় মামলা দায়ের হয়। মূল অভিযুক্ত ছিলেন উইলসন চাম্প্রামারি। তিনি গ্রেফতার হলেও জামিনে মুক্তি পান। নির্বাচনে তিনি মোর্চার সমর্থন নিয়ে লড়েই বিধায়ক নির্বাচিত হন। বাকি যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তারাও ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছেন। কিন্তু আজ একবছর পার হলেও সেই তদন্তের কাজ শেষ হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ে চার্জশিট দেওয়া দূরের কথা।
যদিও গড়বেতা কঙ্কালকাণ্ড বা নন্দীগ্রামের মতো বহু চর্চিত ঘটনার তদন্তভার নিয়ে যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গ্রেফতার ও তদন্তের কাজ শেষ করে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিআইডি।