সন্ত্রাসের অপর নাম হয়ে উঠেছিল আরাবুল
আবার ভাঙড়, আবার আরাবুল। তৃণমূলের এই দাপুটে নেতার বিরুদ্ধে দলের লোককেই খুনের অভিযোগ উঠেছে। আরাবুলের বাধায় পুলিস তাদের কথা শুনতে চায়নি বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। আরাবুলের বিরুদ্ধে মুখ খোলার পর দলের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতাকে যেতে হয়েছে জেলে। এতকিছুর পর প্রশ্নটা উঠছেই। অবশেষে সেই আরাবুলকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস।
কলকাতা: আবার ভাঙড়, আবার আরাবুল। তৃণমূলের এই দাপুটে নেতার বিরুদ্ধে দলের লোককেই খুনের অভিযোগ উঠেছে। আরাবুলের বাধায় পুলিস তাদের কথা শুনতে চায়নি বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। আরাবুলের বিরুদ্ধে মুখ খোলার পর দলের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতাকে যেতে হয়েছে জেলে। এতকিছুর পর প্রশ্নটা উঠছেই। অবশেষে সেই আরাবুলকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস।
ভাঙড়ে যে তিনিই শেষ কথা, ফের তা বুঝিয়ে দিলেন আরাবুল ইসলাম। দালালির বখরা, এলাকা দখল নিয়ে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভাঙড়ে খুন হয়ে গেলেন দু-জন। গ্রামবাসীরা বলছেন, আরাবুল বাহিনীর হাতে প্রাণ গেছে তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর রমেশ ঘোষালের। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, আরাবুলের বাধায় থানায় গিয়েও অভিযোগ জানাতে পারেননি তাঁরা।
ভাঙড়ে আরাবুলের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা ওহিদুল ইসলামের অনুগামী সত্যজিত মণ্ডল। তাঁর বাড়িতেও চড়াও হয় আরাবুল বাহিনী। শনিবার, ভাঙড়ে খুন হন আরাবুল গোষ্ঠীর বাপন মণ্ডল। সত্যজিত মণ্ডলের অভিযোগ, তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিল আরাবুলের লোকেরা। সেই গুলিই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাপনের গায়ে লাগে। পুলিস অবশ্য সত্যজিত মণ্ডল ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করেছে।
কলেজে ঢুকে শিক্ষিকাকে জগ ছুঁড়ে মারা, বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লাকে মারধর, দলের লোকেদের ছাড়িয়ে আনতে থানায় তাণ্ডব, উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় স্কুলে ঢুকে পরীক্ষার্থীদের টুকতে দেওয়ার জন্য শিক্ষিকাকে নির্দেশ - দিনের পর দিন এ ভাবেই নিজের দাপট দেখিয়ে এসেছেন আরাবুল ইসলাম। তৃণমূলের ওপর মহলের নেতাদের সামনেই ভাঙড়ে দলের অন্য গোষ্ঠীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন তাঁর অনুগামীরা। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে আগেও ভাঙড়ে খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। তবে, আরাবুলের বিরুদ্ধে কখনই ব্যবস্থা নেয়নি দল। তৃণমূলের অন্দরের খবর, আরাবুলের লাগাতার দাদাগিরিতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি তৃণমূল।