মুখ ফিরিয়েছে পরিযায়ীরা, নষ্ট হচ্ছে পাখিদের স্বাভাবিক বাসস্থান
পরিযায়ী এবং স্থানীয় পাখির প্রজাতি ও সংখ্যা গণনা শুরু করেছে আলিপুরদুয়ার বার্ডস ক্লাব। এই কাজে সাহায্য করছেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাধিকারিকরা। একসাথে রসিকবিল, নারারথলি, হাতিডোবা এবং বোচামারি ঝিলে গণনার কাজ শুরু হয়েছে। কলকাতা, শিলিগুড়ি, দিনহাটা এবং আলিপুরদুয়ারের তেইশজন প্রতিনিধি গণনার কাজ করছেন।
ওয়েব ডেস্ক: পরিযায়ী এবং স্থানীয় পাখির প্রজাতি ও সংখ্যা গণনা শুরু করেছে আলিপুরদুয়ার বার্ডস ক্লাব। এই কাজে সাহায্য করছেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাধিকারিকরা। একসাথে রসিকবিল, নারারথলি, হাতিডোবা এবং বোচামারি ঝিলে গণনার কাজ শুরু হয়েছে। কলকাতা, শিলিগুড়ি, দিনহাটা এবং আলিপুরদুয়ারের তেইশজন প্রতিনিধি গণনার কাজ করছেন।
উত্তরবঙ্গে পরিযায়ী পাখিদের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের নারারথলি সহ বিভিন্ন ঝিলে প্রতিবছর নব্বই থেকে একশো প্রজাতির দেশ বিদেশের পাখির সন্ধান পাওয়া যায়। তবে ডুয়ার্সে পাখি গণনা চলাকালীন মাত্র দুটি বিরল প্রজাতির পরিযায়ী পাখি সহ আশিটি প্রজাতির পাখির সন্ধান মিলেছে। গণনায় নর্দান পিনটেল, ম্যালার্ড, গ্যাডওয়াল, কটন টিল, ফেরোজিনাস পোচার্ডের মত পরিযায়ী জলচর পাখি, লিটিল গ্রিভি সহ একাধিক পাখির দেখা মিলেছে। তবে সংখ্যায় কম।
কেন কমছে সংখ্যা? প্রতিটি ঝিলে পাখিদের স্বাভাবিক বাসস্থান নষ্ট হচ্ছে। ফলে দেশবিদেশের পাখিরা আর তেমন আসছে না। পাখি প্রেমীদের আশঙ্কা, এমন অবস্থা চলতে থাকলে, ডুয়ার্সে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা আরও কমবে।