ছাত্রীকে বাঁশ দিয়ে পেটাল পুলিশ, SFI ডেপুটেশন ঘিরে ধুন্ধুমার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে
JNU-এর ছায়া এবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্যাম্পাসে বিক্ষোভরত SFI সমর্থকদের উপর চলল বেধড়ক পুলিসি লাঠিচার্জ। বাদ গেলেন না ছাত্রীরাও। তার আগে একপ্রস্থ তাণ্ডব চালায় ছাত্ররাও। বন্ধ গেট ভেঙে, পুলিসি ব্যারিকেড ঠেলে-হঠিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। চলে ভাঙচুর। দিনভর ধুন্ধুমার কাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বর্ধমান : JNU-এর ছায়া এবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্যাম্পাসে বিক্ষোভরত SFI সমর্থকদের উপর চলল বেধড়ক পুলিসি লাঠিচার্জ। বাদ গেলেন না ছাত্রীরাও। তার আগে একপ্রস্থ তাণ্ডব চালায় ছাত্ররাও। বন্ধ গেট ভেঙে, পুলিসি ব্যারিকেড ঠেলে-হঠিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। চলে ভাঙচুর। দিনভর ধুন্ধুমার কাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
BA-তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভ চলছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। এবছর ১৮ মার্চ থেকে থার্ড ইয়ারের পরীক্ষা শুরুর কথা। অথচ এমাসেই বের করা হয়েছে সেকেন্ড ইয়ারের রেজাল্ট। অভিযোগ, তাড়াহুড়ো করে বের করায়, ওই রেজাল্টে অজস্র ভুল রয়েছে। এই নিয়ে আজ চরমে ওঠে বিক্ষোভ।
পূর্ব ঘোষণামতো আজ SFI সমর্থকরা,উপাচার্যের অফিসে ডেপুটেশন দিতে যান। কিন্তু আগে থেকেই তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় রাজবাটি গেটে। সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় বিশাল পুলিসবাহিনী। অভিযোগ, ছিলেন SDPO নিজেও। বাধা পেয়ে যেন বিক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে।
SFI –এর দাবি পুলিসের লাঠির ঘায়ে তাঁদের বহু সমর্থক আহত হন। পুলিস অবশ্য দাবি করেছে, লাঠিচার্জই নাকি হয়ইনি! যদিও ছবিতে স্পষ্ট, শুধু লাঠিই নয়, SFI কর্মীর হাত থেকে ফ্ল্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে, সেই বাঁশ দিয়েও চলে মার।
এদিকে ক্যাম্পাসে পুলিস ডাকা নিয়ে, প্রশ্নের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকারের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তি ঠেকাতেই এই পথ নেন তাঁরা। পুলিস পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করেছে। তাঁর আরও অভিযোগ ডেপুটেশন দেওয়ার নামে প্রথম থেকেই মারমুখী ছিল SFI। নষ্ট করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি।