কৃষক দিবসে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী
নন্দীগ্রাম আন্দোলনেযুক্তথাকা নিহত ও নিখোঁজ ২৪ টি পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার কৃষক দিবসে নন্দীগ্রামে ২০০৭ সালে ১৪ মার্চ পুলিসের গুলিতে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে এই টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
নন্দীগ্রাম আন্দোলনেযুক্তথাকা নিহত ও নিখোঁজ ২৪ টি পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার কৃষক দিবসে নন্দীগ্রামে ২০০৭ সালে ১৪ মার্চ পুলিসের গুলিতে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে এই টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও সিঙ্গুর আন্দোলনেযুক্ত থাকা ১৪ টি পরিবারের প্রত্যেকটিকে ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে নন্দীগ্রামে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও কৃষক বাজার তৈরি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নন্দীগ্রামের জমিরক্ষার আন্দোলনই ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষমতায় আসার সূত্রপাত। জমিকে কেন্দ্র করে নন্দীগ্রামে শুরু হয়েছিল আন্দোলন। রাস্তা কেটে, গাছ ফেলে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে রুদ্ধ করে চলে সেই আন্দোলন। তৈরি হয় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। নেতৃত্বে ছিলেন শেখ সুফিয়ান, আবু তাহের, শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতারা। নন্দীগ্রামের জমি কেন্দ্রিক আন্দোলন থেকেই পায়ের তলায় জমি পায় তৃণমূল কংগ্রেস। ধীরে ধীরে আসে পরিবর্তন। বিপুল জমসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস।
কিন্তু, সেই নন্দীগ্রামেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনে আর আশার আলো দেখছেন না নন্দীগ্রামের মানুষ। ছেলের চাকরির প্রতিশ্রুতি পেয়ে আন্দোলনে যোগ দেওয়া বাবার আশাভঙ্গ হয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর অগাধ টাকার বিনিময়ে সেই চাকরি পেয়েছে অন্য কেউ। কু-প্রস্তাব পেয়ে মহাশ্বেতা দেবীকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক মহিলা। সেই চিঠির উত্তর জানাজানি হওয়ায় এলাকার তাবড় তৃণমূল নেতাদের মদতে প্রহৃত হতে হয়েছে তাঁকে। প্রচুর স্বপ্ন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ক্ষমতায় এনেছিল মানুষ। কিন্তু কোনওটাই পূরণ হওয়ার আশা দেখছেন না আজকের নন্দীগ্রামের মানুষ। এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের ঘোষণা কতটা বাস্তবায়িত হয় তার দেখার আশায় রইল নন্দীগ্রামের মানুষ।