পরিকাঠামোর অভাবে ধুঁকছে প্রতিশ্রুতি
প্রতিশ্রুতির দীর্ঘ তালিকা নিয়ে জেলাসফরে বেরিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে খরচ কয়েক কোটি টাকা। শুধুমাত্র ৫টি জেলায় ১০টি হাসপাতাল গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রতিশ্রুতির দীর্ঘ তালিকা নিয়ে জেলাসফরে বেরিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে খরচ কয়েক কোটি টাকা। শুধুমাত্র ৫টি জেলায় ১০টি হাসপাতাল গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নদিয়া থেকে শুরু, শেষ জলপাইগুড়িতে। নদিয়াতে দুটি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে। এরপর বহরমপুর। মুর্শিদাবাদে ৩ টি হাসপাতাল। সেখান থেকে মালদহ। মালদহে আপাতত ২টি। উত্তর দিনাজপুরেও মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে ২টি হাসপাতালের প্রতিশ্রুতি। দক্ষিন দিনাজপুরে আপাতত একটি মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল। অর্থাত্ ৫ জেলায় ১০টি মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা। কিন্তু সত্যিই কি দশটি হাসপাতাল গড়ে তোলার মতো পরিকাঠামো রয়েছে সরকারের হাতে? বর্তমানে একটি মাল্টিস্পেসালিটি হাসপাতাল গড়ে তুলতে খরচ পড়ে কমপক্ষে ১৫০ কোটি টাকা। অর্থাত্ ১০টি হাসপাতালের জন্য খরচ দেড় হাজার কোটি টাকা। এরপর রয়েছে জমি অধিগ্রহনের প্রশ্ন। একটি সরকারি হাসপাতাল গড়তে কমপক্ষে ৫০ একর জমি প্রয়োজন। জমির বর্তমান বাজার দর ধরলে খরচ আরও কয়েক কোটি টাকা। অর্থাত্ সরকারি তথ্যই বলছে দশটি হাসপাতাল তৈরি করতে কমপক্ষে চার হাজার কোটি টাকার কমে কিছুতেই সম্ভব নয়।
চলতি আর্থিক বছরে স্বাস্থ্য দফতরের বাজেট ৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করে দশটি হাসপাতাল গড়ে তোলা কি সরকারের পক্ষে আদৌ সম্ভব? এরপর রয়েছে একটা হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য এমসিআই-এর অসংখ্য নিয়ম। কমপক্ষে ৩০০ বেড, চিকিত্সক, আরও আনুসঙ্গিক অনেক কিছু। কিন্তু কীসের ভিত্তিতে হাসপাতাল গড়ে তোলার এই প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?