শাসকের চাপে পিছু হটলেন নির্বাচন কমিশনার
প্রবল চাপের মুখে পিছু হঠল কমিশন। সাত তারিখের বদলে তিন পুসভার ভোট গণনা হবে ন তারিখ। তার আগে আট তারিখ ৩ পুরসভার কয়েকটি বুথেও পুনর্নির্বাচনের কথা জানিয়ে দিলেন নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়।
বেলাগাম সন্ত্রাস। অবাধে ভোট লুঠ। শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ভোটের দিনই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিরোধীরা। রাত পর্যন্ত কমিশনের দফতরের সামনে ধরণায় বসে বাম,বিজেপি ও কংগ্রেস।
বিরোধীদের ত্রিমুখী চাপের মুখে থমকে যায় নির্বাচন কমিশন। বালি ও আসানসোল পুরসভার ভোট গণনা স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
বিরোধীদের পাল্টা চাপে ফেলতে এবার ময়দানে নামে শাসক দল। সব কাউন্সিলরদের নিয়ে সোমবার নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভে বসেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও মেয়র।
কমিশনের দফতরে সামনে যখন শাসকদলের ভিড়, বিরোধীরা তখন রাজভবনে। রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানাতে হাজির বিজেপি ও বাম নেতৃত্ব। বিকেলে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ধর্মতলা থেকে শিয়ালদা মিছিল করে বামেরা। সল্টলেকের SDO অফিসের সামনে বিক্ষোভে সোচ্চার বিজেপি।
এখানেই শেষ নয়। ভোট প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়ে দেয় বিজেপি।
দিনের শেষে শাসক ও বিরোধী দুপক্ষের প্রবল চাপের মুখে মুখ খোলেন নির্বাচন কমিশনার। জানিয়ে দেন ৩ পুরসভার বেশকয়েকটি বুথে পুনর্নির্বাচন হবে।
তবে কোথায়, কতগুলি বুথে পুনর্নির্বাচন তা জানিয়েই কীভাবে গণনার দিন ঘোষণা করল কমিশন, সেনিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।