সব থেকেও সর্বহারা
রাস্তাতেই সংসার। তারও কোনও ঠিক নেই। আজ এ পাড়ায় তো কাল সে পাড়ায়। এভাবেই দিন কাটছে বছর পয়ষট্টির এই বৃদ্ধার। সমাজের অন্ধ কুসংস্কারের নির্মম শিকার অশক্ত বৃদ্ধা। বৃদ্ধার অপরাধ, তিনি এইচআইভি পজিটিভ আক্রান্ত কন্যার মা।
ওয়েব ডেস্ক: রাস্তাতেই সংসার। তারও কোনও ঠিক নেই। আজ এ পাড়ায় তো কাল সে পাড়ায়। এভাবেই দিন কাটছে বছর পয়ষট্টির এই বৃদ্ধার। সমাজের অন্ধ কুসংস্কারের নির্মম শিকার অশক্ত বৃদ্ধা। বৃদ্ধার অপরাধ, তিনি এইচআইভি পজিটিভ আক্রান্ত কন্যার মা।
২০০৫ সালে মেয়ের বিয়ে দেন সোদপুরের কালীতলার বৃদ্ধা। কয়েক বছর কাটতে না কাটতেই জামাইয়ের শরীরে ধরা পড়ে এইচআইভি। দুরারোগ্য ব্যাধিতে জামাইয়ের মৃত্যু হয় ২০০৯ সালে। মেয়েও আক্রান্ত এইচআইভিতে। ছোঁয়াচে রোগের ভয়ে বৃদ্ধার মেয়েকে তাড়িয়ে দেয় শ্বশুরবাড়ি। ঘরে ফেরা অসহায় মেয়েকে নিয়ে শুরু হয় একলা মায়ের লড়াই। ছেলে-বৌয়ের অত্যাচারে নিজের ঘরেও একঘরে হয়ে যান বৃদ্ধা। ২০১৫-এ মেয়ের মৃত্যু হয়। মেয়ের সঙ্গে একঘরে দিন কেটেছে, তাই মায়েরও এইচআইভি হয়েছে, এই আশঙ্কায় মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে বৃদ্ধার ছেলে। একবছর ধরে ঘর ছাড়া অসহায় বৃদ্ধা।
দুচোখে জল। সব থেকেও আজ সর্বহারা। চোখের সামনে মেয়েকে হারিয়েছেন। এইচআইভি যে সংক্রামক রোগ নয়, তা বোঝানোর চেষ্টা করেও হার মেনেছেন বৃদ্ধা। সভ্য সমাজে বাস করেও বয়ে বেড়াচ্ছেন অন্ধ কুসংস্কারের অভিশাপ।